২০২০ সালের ২০ মার্চ প্রয়াত হন কিংবদন্তী পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় ফুটবলে পিকের অবদান, কোচ হিসেবে তাঁর ভোকাল টনিক চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২৩ জুন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। এ বার থেকে প্রত্যেক বছর ওই দিন ‘এআইএফএফ গ্রাসরুট ডে’ হিসেবে পালন করবে ফেডারেশন। গ্রাসরুট দিবসটি স্ট্র্যাটেজিক রোডম্যাপ ‘ভিশন ২০৪৭’-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পালন করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০ কোটি পর্যন্ত শিশুদের ফুটবলে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে বলে শুক্রবার ঘোষণা করেছে ফেডারেশন।
advertisement
এই প্রসঙ্গে এআইএফএফের বর্তমান সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেন, “ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা কিংবদন্তী তিনি। প্রদীপদার সম্পর্কে যতই বলব তা কম বলা হবে। একজন মহান ফুটবলার, দুর্দান্ত মেন্টর ও মহান কোচ। ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, প্লেয়ার জীবন থেকে কোচিং কেরিয়ারের সাফল্য ভারতীয় ফুটবলে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে এ বার থেকে ওই দিনটি গ্রাসরুট ডে হিসাবে পালিত হবে।”
প্রসঙ্গত, ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট থেকেই ফুটবল ছিল তার ধ্যান,মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিহারের সন্তোষ ট্রফি খেলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের হয়ে তিনটি এসিয়াড গেনমসে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে এশিয়াডে ভারতের সোনা জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন পিকে। ১৯৫৬ সালে প্রথম বার মেলবোর্নে অলিম্পিক খেলেন। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে তিনিই ছিলেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন।
আরও পড়ুনঃ KKR: লজ্জার হারের পর এখনও প্লে অফে যেতে পারে কেকেআর! কিন্তু কীভাবে? রইল বিস্তারিত তথ্য
কলকাতা ফুটবলে দাপিয়ে খেললেও কখনও মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল কিংবা মহামেডানে খেলেননি প্রবাদপ্রতীম ফুটবলার। ১৯৫৪ সালে এক মরশুম এরিয়ানে খেলার পর ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পিকের ক্লাব বলতে গোটা ময়দান জানত ইস্টার্ন রেলকে। ১৯৫৮ সালে তাঁর নেতৃত্বেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল ইস্টার্নে রেল। দেশের জার্সি গায়ে ৪৫টি ম্যাচে ১৪টি গোল করেছেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন, পদ্মশ্রী ও ফিফার সম্মানেও সম্মানিত হয়ছেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়।