কনকের বাবা ইন্দ্রসিংহ গুর্জর ও মা ধারীনি গুর্জর দুজনেই ভারোত্তলনের সঙ্গে যুক্ত। তারাও একসময় ভারোত্তলন করতেন। বর্তমানে তারা কোচিং ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় রেফারিং করেন। মোতেরাতে গুজরাত রাজ্য পাওয়ারলিফ্টিং প্রতিযোগিতায় রেফারি হিসাবে রয়েছেন কনকের বাবা ও মা। সেখানেই মেযের কীর্তি অবাক করেছে বাবা-মাকেও।
কনকের ওজন ৩৭ কেজি। অনূর্ধ্ব-৪৪ কেজি বিভাগে নাম দিয়েছিল সে। সেখানেই এই কীর্তি করেছে কনক। ডেডলিফ্টে ৫৫ কেজি, স্কোয়াটে ৩০ কেজি ও বেঞ্চ প্রেসে ১৭.৫ কেজি ওজন তুলে সোনা জিতেছে কনক। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিযোগি হিসেবে নয়, দর্শক হিসেবে প্রতিযোগিতা দেখতে এসেছিলেন কনক। সেখানে ৪৪ কেজি বিভাগে ওর থেকে একটু বড় বাচ্চাদের ভারোত্তলন করতে দেখে ইচ্ছে হয়। নাম দিয়ে দেয় কনক। তারপর যে কনক এমন কাণ্ড ঘটিয়ে চ্য়াম্পিয়ন হবেন তা ভাবতেও পারেননি কেউ।
advertisement
মেয়ের এমন জন্মগত ট্য়ালেন্ট দেখে অভিভূত তার বাবাও। সাধারণত ১২ বছরের নীচে কাওকে প্রশিক্ষণ দেননা ইন্দ্রসিংহ গুর্জর। কিন্তু মেয়ের প্রশিক্ষণ দিতে রাজি হয়েছেন তিনি। আমেরিকায় বিশ্ব পাওয়ারলিফ্টিং প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে কনক। ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সেই প্রতিযোগিতা। তার আগে বাবার কাছেই এই কয়েক দিন প্রশিক্রণ নিয়ে নিজেকে আরও পরিণত করবেন ছোট্ট কনক।