বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্কে দুই চিতল হরিণের মধ্যে তুমুল লড়াই বাঁধে। দুটি চিতল হরিণের এই লড়াইয়ে একটি কম বয়সি হরিণের মৃত্যু হয়। মৃত হরিণের মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গেছে।
advertisement
সোমবার মৃত হরিণের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। হরিণের দেহাংশ বা ভিসেরা সংগ্রহ করে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বন্য প্রাণীদের নিজেদের মধ্যে এই লড়াইয়ের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। সে কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে পুনরায় যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হরিণের এনক্লোজারে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বর্ধমানের এই রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্কে এখন ৭৬টি চিতল হরিণ রয়েছে। এছাড়াও ৩টি বার্কিং ডিয়ার রয়েছে। সোমবার সকালে সাফাই কর্মীরা হরিণের এনক্লোজারের ভিতর একটি হরিণের দেহ পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি তারা সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তাঁদের নির্দেশে বন বিভাগের চিকিৎসকরা গিয়ে দেহটি উদ্ধার করেন।
জানা গিয়েছে, যে হরিণটি মারা গিয়েছে সেটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হরিণ। এনক্লোজারের ভেতরে থাকা অন্য একটি হরিণের সঙ্গে তার রবিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় মারামারি হয়। তাতে কম বয়সের এই হরিণটি মারাত্মকভাবে জখম হয়। তার মাথায় চোট লাগে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই বাচ্চা হরিণটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। মৃত হরিণটির দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। এই ঘটনার পর হরিণদের গতিবিধির ওপর বাড়তি নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।