ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সুত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় এবং ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বৃদ্ধি হতেই সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ জল আসছে, সেই পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭৭.৩৪ ডেঞ্জার লেভেল অতিক্রম করেছে। ফারাক্কা ব্যারেজে জল ধরে রাখার ক্ষমতা নেই, ফলে জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে তারা। জল না ছাড়া হলে ফারাক্কা ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। তবে ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণেই বাংলাদেশ প্লাবিত হচ্ছে বলেই দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
advertisement
অন্যদিকে এই জল ছাড়ার ফলে গঙ্গা থেকে জল ঢুকছে বিভিন্ন গ্রামে ও মাঠে। প্লাবনের আশঙ্কা করছেন মুর্শিদাবাদের মানুষ। বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ গঙ্গার উচ্চ অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হুহু করে বাড়ছে গঙ্গার জলস্তর। ফারাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমে জল ধারণ ক্ষমতা ২৬.২৪ মিটার। বিপদসীমা ২২.২৫ মিটার এবং সর্তকতা সীমা ২১.২৫ মিটার। ইতিমধ্যে আপ স্ট্রিমের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ গেট। ইতিমধ্যেই ১১ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হচ্ছে ব্যারেজ থেকে। যদিও পদ্মায় জল বাড়ায় প্লাবনের পরিমাণ আরও বাড়ছে।
অন্যদিকে, নিমতিতায় সর্তক সীমা ২০.৫৮ মিটার ৷ বিপদসীমা ২১.৯০ মিটার। নিমতিতায় জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে ১১.৫১ মিটার উচ্চতায়। নুরপুরে বিপদসীমা ২১.০৩ মিটার। জল বইছে ২১.৬৪ মিটার দিয়ে। সতর্কতা সীমা ২০.৭৩ মিটার৷ গিরিয়ায় বিপদসীমা ২০.৯৪ মিটার। ২১.৫৫ মিটার উচ্চতায় জল বইছে। সতর্কতা সীমা ২০.৩৯ মিটার৷ জঙ্গিপুরে গঙ্গার বিপদসীমা ২০.২৯ মিটার। জল বইছে ২০.৮৭ মিটার উচ্চতা দিয়ে। সতর্কতা সীমা ১৭.৮০ মিটার৷ একইভাবে লালবাগ, বহরমপুর, বেলডাঙা, শক্তিপুরে ভাগীরথীর জল বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে।
কৌশিক অধিকারী