নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ১৩ ডেসিমেল জমি খালি করতে বলে নোটিশ দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যার বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন অধ্যাপক সেন৷ কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই এই বিশ্বভারতীর নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। জমি বিবাদের মাঝেই ৫ জুন বিশ্বভারতীর বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে অধ্যাপক সেনের সঙ্গে দেখা করেন পড়ুয়ারা। পরামর্শ চান বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন অমর্ত্য সেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: ছুঁতেও ভয়ে কাঁপবেন থরথর করে…! পৃথিবীর সব থেকে ঝাল এই ৬ লঙ্কা! একটি তো আবার ভারতেই
এরপরেই এদিন অমর্ত্য সেনের নাম না করেই একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে উল্লেখ করা হয়, “জমি সংক্রান্ত বিষয়টি বিচারাধীন তাই এব্যাপারে বিশ্বভারতী এখন কোনও মন্তব্য রাখবে না।”
আরও বলা হয়, “বিশ্বভারতীতে আজকের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও পরিযায়ী পরিব্রাজকের মন্তব্যের ঘোরতর বিরোধী, কারন যিনি এই বক্তব্য সর্বসমক্ষে রাখছেন তিনি এতদিন বিশ্বভারতীতে চলমান অশান্ত পরিবেশের ফায়দা তুলেছেন।” এছাড়াও, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘মেকি রাবীন্দ্রিক’, ‘জমি হরফকারী’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷ এমনকি, পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, “যারা চাটুকার শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং তথাকথিত রাবীন্দ্রিক তারাও একদিন নির্মূল হয়ে যাবেন৷ দূর্নীতি বন্ধ করতে ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যত রকম আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিতে বিশ্বভারতী প্রশাসন শেষ পর্যন্ত যাবে।”
আরও পড়ুন: আপনার হাতে এই ‘M’ রেখা আছে? থাকলে কী হয় জানেন না নিশ্চই! চমকে যাবেন শুনলে!
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই প্রসঙ্গেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতীর হুঁশিয়ারি, “তিনি যতই জগৎ বিখ্যাত হোক না কেন, বিশ্বভারতীর দৃষ্টীতে তিনি দোষী এবং অপরাধী। তাঁদের যত বড়ই রাজনৈতিক প্রতিপ্রত্তিশালী মানুষ সাহায্য করুন না কেন, বিশ্বভারতী এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবে৷”
এক কথায় নাম না করে আরও একবার ‘ভারতরত্ন’ অমর্ত্য সেন-সহ দেখা করতে যাওয়া পড়ুয়া-অধ্যাপকদের কদর্য ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর আগেও অমর্ত্য সেনের বাড়ি যাওয়ায় একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বেনজির ভাষায় আক্রমণ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
ইন্দ্রজিৎ রুজ