TRENDING:

traditional durga puja 2021: ২৭২ বছরের দুর্গাপুজো ! বারুইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর গল্প

Last Updated:

Durga puja 2021| traditional durga puja 2021: রথের দিন থেকে কাঠামোর পুজোর (Durga puja 2021)প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রতিপদেই বসে ঘট।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বারুইপুর: অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণ চিহ্নিত করার জন্য ঘড়ি ধরে একবারই ফাটানো হয় বন্দুক (Durga puja 2021)। ২৭২ বছরের রীতিতে আজও ভাঁটা পড়েনি। পূজার নৈবদ্য সাজনো থেকে ফল কাটা সবই করেন বাড়ির ছেলেরা। যে রীতি এখনও অব্যাহত আছে বারুইপুরের আদি গঙ্গা সংলগ্ন কল্যানপুরের বন্দোপাধ্যায় বাড়িতে। যা দেখতেই পুজোর কদিন মানুষজনের বিশেষ ভিড় লেগে থাকে।
photo source local 18
photo source local 18
advertisement

১১৫৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে জমিদার সহস্ররাম বন্দোপাধ্যায় এসে বন্দোপাধ্যায় বাড়িতে মন্দির(Durga puja 2021) প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে বংশ পরম্পরায় দুর্গা পুজো হয়ে আসছে, দুর্গা মন্দিরে। দুর্গা মন্দিরে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রঙের প্রলেপ পড়ছে মন্দিরে। বর্তমানে এই বাড়ির সদস্যরা কেউ মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর এমনকী আমেরিকায় থাকেন। সবাই বাড়ির পুজোর টানে চলে আসেন ওই কয়েকটা দিন।

advertisement

রথের দিন থেকে কাঠামোর পুজোর (Durga puja 2021)প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রতিপদেই বসে ঘট। কুলপুরোহিতের সঙ্গে তন্ত্রধারক মিলে শুরু করেন চণ্ডীপাঠ। বাড়ির সদস্য ভাস্কর বন্দোপাধ্যায় জানান, 'যেদিন থেকে ঘট বসে দুর্গা মন্দিরে, সেইদিন থেকেই পরিবারে মাছ ছাড়া মাংস, ডিম, পেঁয়াজ এসব কিছুই খাওয়া হয় না। যা চলে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত।'

বকখালির নবগ্রাম থেকে পুজোর (Durga puja 2021)কয়েকটা দিন কাজের জন্য ছেলেরা আসে, তারাই পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে গঙ্গাজল আনা সবটা করে থাকে। মায়ের বোধন শুরু হয় দরমার বেড়া দিয়ে বেলগাছ ঘিরে। বাড়ির গৃহবধূ শিক্ষিকা মৌসুমি বন্দোপাধ্যায় জানালেন, 'পুরানো ঐতিহ্য ধারাকে বজায় রেখেই একমাত্র এই বাড়িতেই পুজার কয়েকটা দিন ফলকাটা থেকে শুরু করে নৈবদ্য সাজানো সব কাজ বাড়ির ছেলেরাই করে। দীক্ষিত মহিলারাই পায় পুজোর ভোগ রান্নার অনুমতি । বংশ পরম্পরায় বাড়ির পরিবারের গৃহবধূরা পালাক্রমে মায়ের বরন সারেন।'

advertisement

তিনি আরও বলেন, 'কলা বৌ স্নান যখন সব আদি গঙ্গায়, পুকুরে হয়। তখন এই পরিবারে সেই স্নান হয় মন্দিরের ভিতরেই। সপ্তমীর(Durga puja 2021) দিন মন্দির সংলগ্ন চাতালে যূপ কাষ্ঠে হয় পাঁঠা বলি, এছাড়া অষ্টমীর দিন ও সন্ধিপুজার সময় পাঁঠাবলির রীতি রয়েছে। এমনকি, নবমীর দিনও পাঁঠা ও শস্য বলি হয়ে থাকে। পুজোর কয়েকটা দিন মায়ের ভোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সপ্তমী থেকে নবমী মাকে ভোগে নানাপদ মাছ, মাংস ,ডাল, খিচুড়ি সবই দেওয়া হয়। কিন্তু দশমীর দিন মাকে পান্তা ভাত, কচু শাক দেওয়া হয়। কারণ, দশমীর দিন অরন্ধন হিসেবে পালিত হয়। সে দিন রান্না হয় না। নবমীর ভোগের পর ফের দশমীর রান্নার আয়োজন করা হয়।'

advertisement

বাড়ির সদস্য ভাস্কর বাবু অবশ্য জানালেন, করোনার সুরক্ষা বিধি মেনেই কয়েক বছর ধরে হয়ে আসছে পুজো। তার ব্যতিক্রম হবে না এ বছরও। মাস্ক ছাড়া কাউকেই দুর্গা মন্দিরে ঢুকতে(Durga puja 2021) দেওয়া হবে না। সব সদস্যরা মাস্ক পড়েই পুজোর আয়োজন করেন। দশমীর দিন মহিলাদের সিঁদুরখেলা দেখতেই ভিড় জমে যায় বাড়িতে। পূজাকে ঘিরে পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষজনও মেতে ওঠেন বন্দোপাধ্যায় বাড়ির মাতৃবন্দনায়।

advertisement

রুদ্র নারায়ন রায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
traditional durga puja 2021: ২৭২ বছরের দুর্গাপুজো ! বারুইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর গল্প
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল