প্রথমে হোগলা পাতার ঘর। পরে তা পাকা হয়...মজবুত হয় ভিত। এরপর ভালোয়-মন্দে ভট্টাচার্যদের সাতপুরুষ কেটে গেছে । বর্ধিষ্ণু পরিবার আজ ক্ষয়িষ্ণু.....ভাঙছে ঘর....ভাঙছে পরিবার.....তবু উমা এলেই আগল ভাঙে আবেগের.....মহালয়ার আগের দিন ঘরে আসে মেয়ে.....দালানে মহালয়া কাটে পরিবারের সঙ্গে...তারপর শুরু হয় চণ্ডীপাঠ...সোনার গয়নায় সেজে ওঠে উমা......অন্নভোগে শুরু হয়ে যায় পুজো............
সপ্তমী থেকে নবমী, পাঁঠা বলি। দশমীতে ফল বলি। তবে এখনও ভট্টাচার্যদের প্রতিমা বিসর্জনের পরই এলাকার অন্য প্রতিমা নিরঞ্জনের নিয়ম। হাল নেহাতই বেহাল......বাড়ির গায়ে জমা শ্যাওলায় অবিরাম রক্তক্ষরণ...নীরবে....কে জানে আর কতদিন? তবু হাল ছাড়তে নারাজ ভট্টাচার্যরা... পুজো চালাতে লিজ নেওয়া হয়েছে তিনটি পুকুর....মেয়ে আবার আসছে....বাপের বাড়ি সাজছে সাধ্যমত.....এবারও চোখের জল লুকিয়ে দিলদরিয়া নবাবগঞ্জের ভট্টাচায্যিরা ।।।।
advertisement
