অর্পণ মণ্ডল, কুলতলি: ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বিরোধী শিবিরে বড় ভাঙন ধরিয়ে নিজেদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার বিকেলে কুলতলিতে এক যোগদান সভায় একঝাঁক বিরোধী নেতা–কর্মী তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। সেই তালিকায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম এসইউসিআই– এর নেতা সুধীর হালদার ও সিপিএম নেতা রমনীরঞ্জন দাস।
advertisement
সুধীরবাবু জানান, ”মানুষের পাশে থাকতে চাইলে আজ তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র ভরসা।” বামনেতা রমনীরঞ্জন দাস দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিএম হয়ে লড়াই করেছেন। ১৯৯০ সালে সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে কুলতলি বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ স্তরেও গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি কাজ করেছেন। এবার মানুষের মতামত নিয়েই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতা রমনীরঞ্জন দাস।
এদিন গোপালগঞ্জ অঞ্চল থেকে বিরোধী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা, কর্মী এবং সমর্থক মিলিয়ে প্রায় এক হাজার জন তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করেন কুলতলির বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডল। তাঁর কথায়, “এটা প্রমাণ করে, মানুষের আস্থা কেবল তৃণমূলের উপরেই রয়েছে।”
যদিও এই যোগদানকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। সিপিএম কুলতলি এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল বলেন, “এরা একসময় তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছিল, আবার ফিরে আসছে। তৃণমূলই বিজেপিকে শক্তিশালী করেছে। জনগণ কিন্তু একজোট, তারা কোথাও যাবে না। ২০২৬ সালে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই এইসব নাটক করছে তৃণমূল।” তৃণমূলের পক্ষে এই যোগদান সভা নিঃসন্দেহে ভোটের আগে সংগঠনগত শক্তি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।