নবজোয়ার যাত্রায় শুক্রবার মুর্শিদাবাদে পৌঁছন অভিষেক৷ মানুষের উন্মাদনা দেখে অভিষেক বলেন, ‘আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং জাঁকজমকপূর্ণ স্বাগত অনুষ্ঠান আমার হৃদয় জিতে নিয়েছে! আমরা তৃণমূল স্তরে সকলের জন্য উন্নয়ন এবং কল্যাণ সুনিশ্চিত করব।’
আরও পড়ুন: ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’ মুর্শিদাবাদে গিয়েই একশো কোটি বরাদ্দ মমতার, তবু কটাক্ষ অধীরের
ফরাক্কা থেকে ধুলিয়ান হয়ে জঙ্গিপুরের উমরপুর মোড়। দূরত্ব সাকুল্যে ২৭ কিলোমিটার । পেরোতে লাগলো আড়াই ঘণ্টার একটু বেশি সময়। গোটা রাস্তা কার্যত দখল নিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে অভিষেক দর্শনে হাজির স্থানীয় বিধায়করা। রাস্তায় ভিড়ের মধ্যেই কখনো উঁকি মেরে উঠলেন সাংসদ খলিলুর রহমান বা কখনও অন্য কোনো বিধায়ক।
advertisement
দর্শনার্থীদের ডাকে সাড়া দিয়ে চার চার বার গাড়ির ওপরে উঠে দাঁড়ালেন তিনি । হাত তালির ঝড় উঠলো চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কে ।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর অভিষেকের প্রথম মুর্শিদাবাদ সফর ঘিরে জুড়ে থাকলো প্রচারে চমক , আর তৃণমূল কর্মীদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছাস।
গাড়ির উপরে দাঁড়িয়েই ভিড় পেরোলেন তিনি। হাত নাড়লেন৷ সুতি মোড়ের ভিড়, যানজট পেরিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে কনভয়। আবার জঙ্গিপুরের আগেই জাতীয় সড়কে ঘিরে ধরল ভিড়। ভিড়ের মাঝেই রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম । ভিড়ের সঙ্গেই হাঁটছেন । মুর্শিদাবাদের অভিষেক সফর নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই বললেন সাগরদিঘি এখন অতীত। মুর্শিদাবাদের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন। “
বিরোধীরা অবশ্য রাজনৈতিক আক্রমণ করলেও, তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে মুর্শিদাবাদ জেলায় তাদের শক্তি অটুট আছে৷