গত বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের যে জেলাগুলিতে তৃনমূলের সবথেকে খারাপ ফলাফল হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া। জেলার ১২ টি আসনের মধ্যে ৮ টি আসনেই হারতে হয়েছিল তৃনমূলকে। লোকসভা নির্বাচনেও জেলার দুটি আসনের মধ্যে একটি আসনে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তৃনমূলকে। একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূলের এই হারের পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দই যে দায়ী, তা বারংবার দলীয় পর্যালোচনায় স্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
advertisement
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে না পারলে তৃণমূলকে যে ফের বাঁকুড়ায় ভরাডুবির মুখ দেখতে হবে, সেই আশঙ্কা এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে তৃনমূলের জেলা নেতৃত্বকে। আর সেই আশঙ্কার কথা এবার প্রকাশ্য মঞ্চেই শোনা গেল বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তারাশঙ্কর রায়ের মুখে। তাঁর দাবি, নেতাদের লড়াই দলের কর্মীরা পছন্দ করেন না। তাই নেতাদের চাল চলন যেমন সংযত হওয়া প্রয়োজন তেমনই তৃণমূল কর্মীদেরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে হবে৷
তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘তৃণমূলের ছেলেরাই তৃণমূলের শত্রু৷ সংগঠন ঠিক না হলে খাতড়া ব্লকে জেতা যাবে না৷ তৃনমূলের ছেলেরাই তৃণমূলের পিছনে লাগে বলেই খাতড়া ব্লকে আমরা হেরে যাই। তৃনমূলের কেউ শত্রু নেই। তৃনমূলের ছেলেরাই তৃনমূলের শত্রু।’
তৃণমূল জেলা সভাপতির এমন মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি শুধু খাতড়া বা রানীবাঁধ বিধানসভায় নয়, সারা রাজ্যেই সমান ভাবে রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলির মতো ২০২৬- এর নির্বাচনেও এলাকার মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করবে বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।