ভগ্ন ব্রিটিশ আবাসনে কান পাতলে শোনা যায়, অত্যাচারের নানা গুঞ্জন। মেদিনীপুর শহরে রয়েছে বার্জ টাউন।স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই বার্জ টাউনের নাম নিয়ে অনেকের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও এই বার্জ টাউনে থাকা আবাসন বয়ে চলে ইতিহাস। মেদিনীপুর শাসন করবার জন্য যেই জেলাশাসক মেদিনীপুরে আসতেন তার বাংলো হিসেবে ছিল, এই ভগ্নপ্রায় আবাসনটি। অঘোষিতভাবে এখান থেকেই জেলা পরিচালনার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হত। স্বাভাবিকভাবে এটাই হয়ে উঠেছিল জেলা কালেক্টর এর অফিস, এমনই মত ইতিহাসবিদদের। তবে কালের নিয়মে ব্রিটিশদের তৈরি এই আবাসন আজ ধ্বংসের মুখে। চারিদিকে ভরে গিয়েছে আগাছায়, বেশ কিছু অংশ ভাঙতেও শুরু করেছে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তবে ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই ইমারত। প্রসঙ্গত, বাংলা, বিহার ও ওড়িশায় প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তারের পর মেদিনীপুরে প্রশাসনিক মূল ঘাঁটি স্থাপন করেছিল ব্রিটিশ শাসকেরা। সেখানেই রয়েছে একাধিক আবাসন।
বার্জ ছিলেন ব্রিটিশ ভারতে মেদিনীপুরে আসা এক জেলাশাসক। যিনি মেদিনীপুরের মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। তবে ১৯৩৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনাথ বন্ধু পাঁজা এবং মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করে। তবে মৃত্যুর আগে বার্জটাউনে থাকা এই আবাসনে থাকতেন বার্জ। এখান থেকেই পরিচালিত করতেন সমস্ত প্রশাসনিক কাজ। অঘোষিতভাবে তার বাংলো হয়ে উঠেছিল জেলা কালেক্টর এর অফিস।
তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই আবাসন থেকে সামান্য কিছুটা দূরে গঠিত হয়েছে নবনির্মিত জেলাশাসক ভবন। বর্তমানে সেখান থেকেই জেলা প্রশাসনের একাধিক প্রশাসনিক কাজ সংঘটিত হয়। তবে এককালের ইতিহাস বহন করে চলেছে এই আবাসন। এই আবাসনের নেপথ্যে রয়েছে নানা কাহিনী। নানা অত্যাচারের ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছিল এই আবাসন থেকেই। বর্তমানে ঝোপঝাড়, আগাছায় ভরে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই আবাসন শুধু একটি আবাসন নয় ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।
রঞ্জন চন্দ