১৯টি ব্লকের বিডিওদের কাছে সেই লিস্ট ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, এই সক্ষম অঙ্গনওয়ারি সেন্টারগুলিতে প্রথমত জোর দেওয়া হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে পাশাপাশি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রগুলিতে আসা পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হবে। অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে থাকবে ইন্টারনেট কানেকটিভিটি, থাকবে এলইডি স্মার্ট টিভি। থাকবে পানীয় জলের জন্য আরও ওয়াটার পিউরিফিকেশন। পাশাপাশি থাকবে ভুগর্ভস্থ পানীয় জলের ব্যবস্থা। কেন্দ্রগুলির দেওয়ালে থাকবে শিশু পড়ুয়াদের মনের মতো বিভিন্ন কার্টুন চরিত্রের ছবি।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্রেস্ট ফিডিং কিয়স্ক এবার রেলের একাধিক স্টেশনে, সন্তান নিয়ে আর বিপদে পড়বেন না মায়েরা
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমে এই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রগুলি যোগাযোগে থাকবে বলেও জানা গিয়েছে। পড়ুয়াদের খাবার হবে উন্নত মানের। তবে বীরভুম জেলার বিভিন্ন আদিবাসি এলাকার থাকা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রগুলিকে বিশেষ ভাবে নজরে রাখা হয়েছে সক্ষম অঙ্গনওয়ারি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে। তবে প্রথমে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে প্রথম ধাপে বীরভূমে বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৫০০০-এরও বেশি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রগুলির মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে এই ১৩০০ অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রকে সক্ষম অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলার যে সমস্ত জায়গায় এখনও অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের নিজস্ব বিল্ডিং নেই, পরবর্তী কালে অনুমোদন পেলে সরাসরি সক্ষম অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রও গড়ে তোলা হতে পারে। তবে আপাতত ১৩০০ সক্ষম অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র কীভাবে চলে, তা দেখতে চাইছে বীরভুম জেলা প্রশাসন।