নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই হুগলির শান্তনু এবং কুন্তলের নাম শিরোনামে উঠে এসেছে এবার দুর্নীতির খাতায় নাম উঠে এল আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাড়ার। সূত্রের খবর শান্তনু, কুন্তল এবং সাহিদ ইমাম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হলেও তাদের ছায়া সঙ্গী ছিলেন গুণধর খাড়া। বর্তমানে তিনি সালেপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চোখ ধাঁধানো ঝাঁ চকচকে…! বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়ি আচমকা সংবাদ শিরোনামে! কেন জানেন?
advertisement
উল্লেখ্য এই গুণধর খাড়া শুরুতে পেশায় নাপিত ছিলেন। পরিবারের অবস্থা শোচনীয় থাকায় কষ্টের মধ্যেই দিনযাপন করতেন তার পরিবারের সদস্যরা। জানা যায় ১৯৮৩ সালে কংগ্রেস হয়ে আরামবাগের সালেপুরে পঞ্চায়েত সদস্য হন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রং বদল করে তৃণমূলে যোগদান। আস্তে আস্তে ক্ষমতা স্থাপন করেন এলাকায়। ২০১৩ সালে সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রধান হন। বেশ কয়েক বছর পর পরিচিতি এবং ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল টিকিট পেয়ে ২০১৮ সালে জয়ী হয়ে আরামবাগের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন।
গুণধর বাবু পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসার পর আস্তে আস্তে তার সম্পত্তির বৃদ্ধি ঘটে। প্রথমে তিনি ধানের বীজ ব্যবসা শুরু করেন তা অবশ্য পার্টনারশিপেই ব্যবসা চললেও পরবর্তীতে ক্ষমতার জোরে ব্যবসা নিজের হাতে হাতিয়ে নেন। এলাকা সূত্রে জানা যায় তার একটি প্রাইভেটলিমিটেড কোম্পানি রয়েছে যার নাম কালীমাতা সিড ফার্ম। এই কোম্পানিটি সালেপুরের পাঁচ মাইল এলাকায় রয়েছে। শুধু কারখানাই নয়, তার রাজকীয় বহুতলবাড়ি আছে। এমনকি তার নামে বাঁকুড়ার তালডাঙরা এলাকাতেও একাধিক জমি এবং বহু বাড়ি রয়েছে। গুণধর বাবু নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দুই মেয়ে ও মেয়ের জামাই ও তাদের বন্ধুবান্ধবদের চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
বেশ কয়েকদিন আগে চাকরি করে দেওয়ার নামে বেকার যুবক যুবতীদের কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে গুণধর খাড়ার। তাই এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে তলব। যা নিয়ে জোড় কদমে চর্চা চলছে আরামবাগ মহকুমার রাজনীতিতে।
শুভজিৎ ঘোষ