২০২২ সালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছিল গোটা রাজ্য৷ মঙ্গলবার সেই ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূ নমিতা ঘোষ সহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কৃষ্ণনগর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত৷ নমিতা ছাড়াও তার স্বামী প্রহ্লাদ ঘোষ এবং গৃহবধূর দুই ভাই প্রসেনজিৎ ঘোষ ও শঙ্কর ঘোষকেও একই শাস্তি দিয়েছেন বিচারক৷ চার জনেরই দশ হাজার টাকা করে জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
advertisement
২০২২ সালের ২১ অগাস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি ধুবুলিয়ার মায়াকোলের বাসিন্দা বাবুসোনা ঘোষ। পরের দিন ধুবুলিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবুসোনার পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত নমিতা ঘোষের বাপের বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জের দফরপোতার দিকে গিয়েছিলেন ওই যুবক।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নমিতা। এরপরই পুলিশ নমিতা ঘোষ ও তার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে বাবুসোনার সাথে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিল প্রহ্লাদ। এরপরই বাবু সোনাকে খুন করার পরিকল্পনা করে তারা।
জেরায় ওই দম্পতি স্বীকার করে, বাবুসোনাকে খুন করে তাঁর মুণ্ড ধড় থেকে আলাদা করে মাথাভাঙা নদীর ধারে পুঁতে রেখেছে তারা৷ বাবুসোনার দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে নদীতে৷ এই হত্যাকাণ্ডে সাহায্য করে নমিতার দুই ভাই৷ তাদেরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে বাবুসোনার কাটা মুন্ডু উদ্ধার হয়। এর কয়েকদিন পর ব্যারাকপুরের মঙ্গল পাণ্ডে ঘাট এলাকায় গঙ্গা থেকে ওই যুবকের মুন্ডুহীন মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
