তবে ইয়াস এই জেলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বাসিন্দারা। চিন্তায় ছিলেন দামোদর,অজয় ও ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিধ্বংসী ঝড় ও অতি ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা ছিল। সেইমতো সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। জেলায় দু'শোরও বেশি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছিল। প্রায় ৯৫০০ হাজার বাসিন্দাকে সেইসব শিবিরগুলোতে নিয়ে আসা হয়েছিল। এছাড়াও প্রয়োজন হলে স্কুলগুলিতে যাতে ত্রাণ শিবির করা যায় সেই প্রস্তুতিতেও নিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে শেষমেশ এই জেলায় ইয়াস তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে জেলার সর্বত্র।
advertisement
ইয়াসের ক্ষতির আশঙ্কা আগেভাগে জমির সবজি তুলে ফেলেছিলেন কৃষকরা। পূর্ব বর্ধমান জেলা পূর্বস্থলী সহ কালনা মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়, দামোদর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে ব্যাপক পরিমাণে সবজি চাষ হয়।সবজি বিক্রেতারা বলছেন, ঝড়ে মাচা ভেঙে যাবে ভেবে ঝিঙে ঝিঙে লাউ তুলে ফেলা হয়েছিল। নষ্ট হয়ে যাবার আশংকায় ঢেঁড়স পটল তুলে ফেলেছিলেন চাষিরা। এমনিতেই লকডাউনের কারণে সবজির চাহিদা কম। বাইরে থেকে সেভাবে গাড়ি আসছে না। তার ওপর আগাম সবজি তুলে ফেলার ফলে যোগান অনেকটাই বেড়ে যায়। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাহিদা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পাইকারি ক্রেতার দেখা নাই। বুধবার ফসল বিক্রি করা যায়নি বললেই চলে। এখন নামমাত্র দামে সেসব ফসল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই।
Saradindu Ghosh