খন্ডঘোষের ওঁয়ারি ও তার আশপাশের গ্রামে বাড়িতে-বাড়িতে তৈরি হচ্ছে এই ফেজ টুপি। এখন মেশিনে এই নামাজি টুপি তৈরি হয়। কিন্তু খণ্ডঘোষের এই টুপির বিশেষত্ব হল এখানকার মহিলারা নিজেদের হাতে সুনিপুণ দক্ষতায় এই টুপি তৈরি করেন। তাই হায়দ্রাবাদ দিল্লি মুম্বই তো বটেই, আরব-সহ মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে এই টুপির কদরই আলাদা।
কাজের ফাঁকে মজলিসে বসে ছুঁচ সুতো দিয়ে নকশা কাটা টুপি বোনেন খণ্ডঘোষের গ্রামীণ মহিলারা। বিক্রির জন্য অন্য কোথাও যেতে হয় না। বাড়িতেই ক্রেতা আসেন। তাঁরাই সেই টুপি কিনে নিয়ে গিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিদেশে পাঠান। এই টুপি বুনে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন অনেকেই। সংসারে বাড়তি আয় এনে দিচ্ছে এই ফেজ টুপি। মহিলারা জানালেন, সারা বছরই চাহিদা রয়েছে। তবে ঈদ বা অন্যান্য পরবের সময় চাহিদা বাড়ে অনেকটাই।
advertisement
মহিলারা জানিয়েছেন, বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এই টুপি তৈরির বরাত দেয়। সূচ সুতো সবই সরবরাহ করে তাঁরা। অনেক সময় কোন ডিজাইনের টুপি পরতে হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই বরাত অনুযায়ী টুপি তৈরি করেন মহিলারা। সাংসারিক কাজ সামলে চলে টুপি তৈরির কাজ। কোনও কোনও টুপি তৈরি করতে এক মাস সময় লেগে যায়। তবে হাতে বোনা এই টুপির বিশ্বজোড়া বাজার রয়েছে। তাই বুনতে পারলে সেই টুপি বিক্রি নিয়ে ভাবনার কিছু থাকে না। কারণ, নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাড়ি থেকেই টুপি নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। মেলে পারিশ্রমিক। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, '' এই নমাজি টুপি খণ্ডঘোষকে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। স্থানীয় মহিলারা যাতে এই টুপির আরো বেশি দাম পান, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে জেলা পরিষদ।''