গত ২৯ জানুয়ারি জলঙ্গিতে মিছিল করেছিল নাগরিক মঞ্চ। এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন ঘিরে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বচসা বাধে। গুলি চালানোর ঘটনায় দু’জনের মৃত্য়ু হয়। তার পর থেকেই চলছে অচলাবস্থা।
নাগরিক মঞ্চের নেতাদের অভিযোগ, ১৩ দিন পরেও এই ঘটনায় অধরা মূল অভিযুক্ত। এদিকে, এই গুলি কাণ্ডের পর থেকেই থমকে সাহেবনগরে পঞ্চায়েতের সব কাজ। স্কুলছাত্র সুমন শেখের মতে, পঞ্চায়েত বন্ধ থাকায় কোন শংসাপত্র তারা পাচ্ছে না। অভিযোগ, গ্রামের সাধারণ মানুষরাও কোন পরিষেবা পাচ্ছেন না।
advertisement
এই অবস্থায় নাগরিক মঞ্চের এক নেতা গোলাপ সেখের দাবি 'একজন খুনির স্ত্রী প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন, আর তাঁর কাছে নাগরিকদের জন্য শংসাপত্র সহ অন্যান্য কাজে যেতে হবে এটা মানতে পারবো না।' ওই অবস্থায় তাদের দাবি, বিডিওর দায়িত্বে সরকারি কর্মচারীরা পঞ্চায়েত চালান। তাতে কোনও অসুবিধা নেই।
কিন্তু খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা পঞ্চায়েত চালাবে এটা তাঁরা চান না। জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুক্লা সরকার বলেন, 'পঞ্চায়েত বন্ধ থাকার জন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে এটা স্বীকার করে নিচ্ছি। প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলেছি যাতে তাড়াতাড়ি পঞ্চায়েত খোলা হয় তার ব্যবস্থা করার জন্য'।
Pranab Kumar Banerjee