আরও পড়ুনঃ স্কুলশিক্ষকদেরও এবার ‘বায়োমেট্রিকে’ হাজিরা, কর্মসংস্কৃতি রক্ষায় বড় পদক্ষেপ স্কুলের
রাজ্যের মুখ্য বন দফতরের আধিকারিকরা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গে দলমা থেকে নেমে আসা হাতির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷ তার উপরে টাটা-খড়গপুর রেলপথের উপর দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে যে ভাবে হাতির কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়েছিল, তাতে এখনই এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা না করলে ভবিষ্যতে বক্সার চেয়েও বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ বিষয়টি নিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই রেলের সঙ্গে বৈঠক করা হবে৷’ মুম্বইগামী গুরুত্বপূর্ণ এই রেলপথে সম্প্রতি হাতির পারাপার বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত রেলকর্তারাও৷
advertisement
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী বলেন, ‘আদ্রা বা বিষ্ণুপুর শাখায় মাঝে মাঝে হাতির পাল রেল লাইনে চলে আসতো৷ কিন্ত্ত টাটা-খড়গপুর শাখায় সম্প্রতি হাতির আনাগোনা বেড়ে যাওয়াটা রীতিমতো চিন্তার বিষয়৷ গুরুত্বপূর্ণ ওই শাখায় ট্রেনের গতি বক্সার মতো কমিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়৷ তবে অন্য কোনও ভাবে কিছু করা যায় কী না তা দেখতে হবে৷’
বাস্তবে অবশ্য ট্রেনের গতি ১১০ থেকে কমে ৩০ বা ৪০ কিমি/ঘন্টা করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রেল চলাচলের সময়সীমা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন দফতরের এক কর্তা বলেন, সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে দলমার থেকে নেমে আসা হাতির সংখ্যা বছরে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ হারে বাড়ছে৷ এখন একটি বড় দলে ১২০টির মতো হাতি ঘুরছে৷ যার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০টি শিশু এবং যুবক৷ এদের নিয়েই চিন্তা বেশি৷ এই দলটি ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে এখন দলমাছুট হাতির সংখ্যা দু’শোর কম নয়৷ এই সংখ্যায় ঘুম ছুটছে বন দফতরের কর্তাদের৷
দলমা পাহাড় থেকে হাতির নেমে আসার ঘটনা চলছে প্রায় ১৯৮৮ সাল থেকে৷ রাজ্যে থাকাকালীন হাতিগুলি মূলত বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও হুগলির একাংশে দাপিয়ে বেড়ায়৷ এ প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, বছর তিনেক আগে পর্যন্ত হাতির দল বছরে ছ’মাস দলমায় আর ছ’মাস এখানে থাকতো৷ গত বছর অন্তত ন’মাস এ রাজ্যে ছিল হাতিগুলি৷ কিন্ত্ত এ বছর জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দলমায় ফিরলেও জুলাইয়ের প্রথমেই ফের তারা ফিরে আসে৷ অর্থাত্ একমাসও হাতিগুলি এবার দলমায় থাকেনি৷ এই প্রবণতা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে হাতি সমস্যায় রীতিমতো বেগ পেতে হবে, তা এখন থেকেই মালুম পাচ্ছেন বনকর্তারা৷