ঘটনাস্থলে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে মা ও মেয়ের মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। মৃতার স্বামী মুন্না হাজরাকে আটক করেছে পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচিন মক্কার জানিয়েছেন, এই খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত থাকতে পারে এই সন্দেহে মৃতার স্বামী মুন্না হাজরাকে আটক করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মর্মান্তিক এই খুনের ঘটনায় মা ও মেয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
advertisement
ইসলামপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায় ভজবাবুর বাড়িতে স্ত্রী ও এক তিন বছরের শিশুকন্যা-সহ ভাড়া থাকেন মুন্না হাজরা। ইসলামপুর নিয়ন্ত্রিত বাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালান মুন্না। প্রতিদিনের মতো এদিনও সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের দোকান করতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান মুন্না হাজরা।
আচমকা চায়ের দোকান খুলে এসে বাড়ির কিছু কাজকর্ম করতে ও ছোট্ট মেয়ের দেখভাল করার জন্য বাড়িতে আসেন মুন্না। এদিকে মুন্নার স্ত্রীও এদিন চায়ের দোকানে না যাওয়ায় সন্দেহ দেখা দেয়। ভারতী হাজরার স্বামী মুন্না বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়ে পড়ে রয়েছে। খবর চাউর হতেই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
সবজি কাটার বঁটি দিয়ে মা ও মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারনেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে মৃতার ভাই বরুন রায় জানিয়েছে, মাঝেমধ্যেই তার দিদিকে মারধর করত জামাইবাবু মুন্না। তার দাবি জামাইবাবু মুন্নাই দিদি ও ভাগ্নিকে খুন করেছে।ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন খুনের ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে মৃতার স্বামী মুন্না হাজরাকে আটক করা হয়েছে।
