সেচ দফতর সূত্রে খবর, ঘাটাল শহরের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে শিলাবতী নদী। এই নদীর বাঁদিকের পাড় বরাবর প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গার্ডওয়াল তৈরি করা হবে। এই গার্ডওয়াল তৈরির জন্য খরচ হবে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। গার্ডওয়াল তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষার কাজও শুরু করে দিয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্প এলাকার মোট ১৩টি জায়গায় গর্ত খোঁড়া (বোরিং) হচ্ছে। প্রায় ১০০ ফুট নীচে থেকে মাটির নমুনা সংগ্রহ করে তা সেচ দফতরে পাঠানো হবে। সেচ দফতর সেই মাটির নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল জানালেই গার্ডওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন : ফ্রান্স সফর শেষ করে আমেরিকা পৌঁছলেন মোদি, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী
গার্ডওয়াল না থাকাতেই বর্ষার ভরা মরশুমে শিলাবতী উপচে বৃষ্টি ও নদীর জল বসত এলাকায় ঢুকে পড়ে। এই প্লাবন রুখতে প্রস্তাবিত গার্ডওয়ালের উচ্চতা করা হবে ৫ ফুট।ঘাটাল শহরের ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি হেভি পাম্প হাউস বসানো হবে। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। যেখানে এই পাম্প হাউস দু’টি নির্মাণ করা হবে, সেই জায়গাও চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।ইতিমধ্যেই বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। লোকসভা ভোটের আগেই রাজ্যের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ হবে। সেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। ভোট মিটলে দ্রুত সেই কাজ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফা এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সকলকে নিয়েই রবিবার ঘাটালে বসতে চলেছে বৈঠক।
প্রসঙ্গত, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। বুধবারের বাজেটে রাজ্য বিধানসভায় এই বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।