বুধবার CAA বিরোধিতায় জলঙ্গিতে বনধ ডাকে নাগরিক মঞ্চ। সেই বনধের বিরোধিতায় হামলা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জলঙ্গির সাহেবনগর। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালান তৃণমূল ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডল।
কে এই তহিরুদ্দিন মণ্ডল? জলঙ্গির কাছে এককথায়, তহিরুদ্দিন বাহুবলী।
বাম আমলে তহিরুদ্দিন ছিলেন সিপিএমের দাপুটে নেতা। ২০১১-য় ক্ষমতার বদল হতেই দল বদলান তিনি। যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরপর জলঙ্গির তৃণমূল ব্লক সভাপতি হন তহিরুদ্দিন মণ্ডল। পাচার, তোলাবাজি, দাদাগিরি। বাম আমল থেকেই তহিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে হাজারো অভিযোগ।
advertisement
জলঙ্গিতে তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্বে ছিেলন তহির। তৃণমূলের সংগঠন চাঙ্গা করতে সিপিএম বিধায়ককেও দলে নিয়ে আসেন তহির। বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকাণ্ডে তহিরের নাম জড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, ক্ষমতা হারানোর ভয়েই মরিয়া হয়ে হামলা করেন তহির।
CAA বিরোধী আন্দোলনে বুধবার বনধের ডাক দেয় 'নাগরিক মঞ্চ'। এতে পায়ের তলার মাটি সরছিল তহিরের। মাটি হারানোর আতঙ্কেই গুলি করেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তহিরুল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ স্থানীয়দের। বুধবারই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তহিরুদ্দিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা অবশ্য তহিরের বিরুদ্ধেই সরব।