এলাকাবাসীরা খবর দেয় বন দফতরকে খবর পেয়ে কুলতলী বন বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকায় বনকর্মীরা তড়িঘড়ি ছুটে আসে। এরপর বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে বাঘের গতিপথ জানার চেষ্টা করেন বন কর্মীরা। এলাকাবাসীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বনদফতরের পক্ষ থেকে গোটা এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর বাঘটিকে ধরার জন্য বনদফতরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি খাঁচা ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে এলাকায় বনকর্মীরা। গভীর রাতে বাঘটি খাঁচা বন্দী হয়।
advertisement
এরপর বনদফতরের কর্মীরা বাঘটিকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ঝড়খালি এলাকায় নিয়ে যায়। বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বনদফতর এর পক্ষ থেকে সুন্দরবনের চামতা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য লঞ্চে করে বাঘটিকে নিয়ে আসা হয় এরপর বাঘটির খাঁচার গেট খুলে দিলে, লম্বা এক লাফে নদীর জলে পড়ে যায় বাঘটি এরপর সাঁতার কেটে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে যায়।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
এ বিষয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মুখ্য বন বিভাগীয় আধিকারিক (ডিএফপি) নিশা গোস্বামী তিনি বলেন, গতকাল সকালে কুলতলী এলাকার দেউল বাড়ীতে বনদফতর এর কর্মীরা খবর পায় যে এলাকায় একটি বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। গভীর রাতে বাঘটি খাঁচা বন্দি হয়, আজ সকালে বাঘটিকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সুন্দরবনের চামতা জঙ্গলে বাঘটিকে পুনরায় ছেড়ে দেওয়া হয়। সুন্দরবনের জঙ্গলে লাগোয়া কুলতলী ব্লক হওয়ার কারণে প্রায় সময় জঙ্গল থেকে বাঘ খাবারের সন্ধানে কিংবা। অন্য কোন কারণে নদী সাঁতরে এই লোকালয় ঢুকে পড়ে।
সুমন সাহা