TRENDING:

Howrah News|| অপেক্ষায় থাকে কাঠবিড়ালি-কাক-শালিক-ছাতারেরা, জগন্নাথের সঙ্গে আত্মীক টান, মন ভাল করা কারণ

Last Updated:

Howrah Local News: প্রতিদিন কাক ভোরে খাবারের থলি হাতে বেরিয়ে পরে জগন্নাথ! তার অপেক্ষায় থাকে কাঠবেড়ালি শালির কাক বুলবুলি ছাতারে সহ নানা পাখি...

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হাওড়া: প্রতিদিন কাকভোরে খাবারের থলি হাতে বেরিয়ে পরে জগন্নাথ! বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যেতে হয়। আম, চাঁপা বট বা বকুল গাছ তলায় ঘুরে বেড়ান। আস্ত একখানা বাগান ঘুরতে সময় লাগে বেশ কিছুটা সময়। দেখলে বা তাঁর ডাক শুনলে ছুটে আসে কাঠবেড়ালি, কাক, শালিক, বুলবুলি, ছাতারে।
advertisement

জগন্নাথ পাত্র, পেশায় একজন চানা বিক্রেতা। প্রতিদিন দুপুর থেকে শুরু হয় তাঁর সংসার চালানোর লড়াই। বিগত প্রায় ৪০ বছর তিনি চানা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। তার এই কঠিন জীবন সংগ্রাম বা দারিদ্র হার মানাতে পারেনি। পশু পাখির প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা।

আরও পড়ুনঃ উত্তাল সমুদ্র, বজ্রগর্ভ মেঘে ঢেকেছে আকাশ, আর কিছুক্ষণেই জেলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির ভ্রুকুটি

advertisement

সারাদিন ব্যস্ততা, তার মাঝেই থাকে ওদের জন্য খাবার সংগ্রহ। কখনও বাড়ি থেকে লুকিয়ে রুটি, মুড়ি আবার মাঝেমধ্যেই স্থানীয় দোকানগুলিতে খাবার অবশিষ্ট থাকলে চেয়ে নেওয়া। কখনও পাউরুটি বা করাই কিনেও নিতে হয়। প্রতিদিন খাবার জোগাড় করতে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। তবে ওদের যে ভালোবাসা, তা দেখেই জগন্নাথের মন ভরে যায়। খাবার খাইয়ে মনের মধ্যে বেশ তৃপ্তি অনুভব হয়। না খাওয়াতে পারলে মনটা যেন কেমন অস্বস্তি লাগে এমনটাই জানালেন জগন্নাথ।

advertisement

View More

রোদ, ঝড়বৃষ্টির মতো দুর্যোগ মাথায় নিয়েও বেরিয়ে পড়তে হয়। কারণ যে একটাই, ওরা অপেক্ষায় থাকে প্রতিদিন। দিন দিন তো সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। তবে খাবারের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। প্রতিদিনই মনে হয় আর একটু খাবার হলে ভাল হতো। তবে যেটুকু খাবার থাকে সেইটুকু নিয়েই দিনে দুই থেকে তিনবার যত্ন করে খাওয়ান। কখনও গাছের বাকল, গাছতলা আবার প্রাচীরের উপর খাবার রেখে দেওয়া। এ ভাবে প্রায় ৩০-৩২টি গাছ এবং বিভিন্ন স্থানে খাবার দিতে প্রায় দেড়,-দু ঘণ্টা সময় লাগে।

advertisement

ওদের খাবার খাওয়ানোর পর সাত'টা থেকে সাড়ে সাত'টা নাগাদ বাড়ি ফেরা। তারপর দোকান গোছানো বাজারে যাওয়া এবং দুপুরের আগেই হাতে টানা ভ্যানে দোকানের পসরা সাজিয়ে বেড়িয়ে পড়া। এলাকার সকলেই তাঁকে 'পাখির বন্ধু' বলেই চেনেন। বিশেষ করে যারা সকালে হাঁটতে বেরোয় জগন্নাথকে দেখে দারুণ আনন্দিত হয়। বিভিন্ন পাখি কাঠবেড়ালি তাকে ঘিরে রয়েছে সে একটু একটু করে ওদের দিকে খাবার ছেড়ে দিচ্ছে। বেশ লাগে সেই দৃশ্য দেখতে, জানালেন স্থানীয় মানুষ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

রাকেশ মাইতি

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Howrah News|| অপেক্ষায় থাকে কাঠবিড়ালি-কাক-শালিক-ছাতারেরা, জগন্নাথের সঙ্গে আত্মীক টান, মন ভাল করা কারণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল