আরও পড়ুনঃ স্টেশনে হারিয়ে যায় ‘গোপাল’, কীভাবে খোঁজ মিলল তার? জানুন
প্রতিবছরের মত এ বছরও বাপিবাবু বিশাল আকারের একটি দুর্গা প্রতিমা গড়ছেন। তাও আবার কাগজের। পরিবেশ দূষণ রুখতে তিনি কেবল খড়ের ওপর নকশা ও কারুকার্য করে প্রতিমা গড়েছেন। আবার কখনও কেবল পাটের সুতলি দিয়েই প্রতিমা গড়ে তাক লাগিয়েছে। পরিবেশবান্ধব উপকরণ ও সামগ্রী দিয়ে প্রতিমা গড়তে তিনি স্বাছন্দ্য বোধ করেন। বাপিবাবু নিউ দিল্লি, নয়ডা ও হরিয়ানা-সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা গড়ে তাক লাগিয়েছেন। তাঁর দাবি, কাগজ, সুতলি বা খড়ের প্রতিমা গড়লে যেমন দূষণ নিয়ন্ত্রিত করা সম্ভব হয় তেমনি ওজনে হালকা হয়। যতই উচ্চতার বা চওড়া প্রতিমা হোকনা কেনও অতি সহজে স্থানান্তরিত করা যায়। কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে না।
advertisement
হালকা ওজনের প্রতিমা সকলেই পছন্দ করেন৷ এবার কাগজ পচিয়ে মণ্ড করে প্রতিমা তৈরি করেছেন। পাশাপাশি আর্ট পেপার-সহ নানান রঙের ব্যবহার করেছেন। এবারে তিনি ১২ ফুট উচ্চতার কাগজের ওই দুর্গা প্রতিমা গড়ে নজির গড়েছেন। কার্ত্তিক, গনেশ ও লক্ষী, সরস্বতী-সহ সপরিবারে দুর্গার ওজন মাত্র ২০-২৫ কেজি হয়েছে। এটি দুর্গাপুরের একটি নামিদামি শপিংমলে যাচ্ছে এবার। তাঁর তৈরি পরিবেশবান্ধব দুর্গা প্রতিমা বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপ গুলিতে যায়।
বাপিবাবু জানান, ছোটো থেকেই তিনি আঁকাআকি ভালবাসতেন। তাই কাগজ, পাট, সুতলি-সহ নানান সামগ্রী দিয়ে আকর্ষণীয় জিনিসপত্র বানিয়ে ফেলতেন। একসময় থার্মোকলের ওপর কাজ করে নানান মডেল বানিয়েছেন তিনি। কিন্তু থার্মোকল পরিবেশ দূষণ করে বলে তিনি আর তেমন ভাবে থার্মোকলের কাজ করেন না। এরপরে তিনি মাটি না ব্যবহার করে দেবদেবীর মূর্তি ও প্রতিমা গড়তে শুরু করেন। সারা বছর প্রতিটি পুজোতেই একটি বা দু’টি প্রতিমা গড়েন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রতিমা গড়তে সহযোগিতা করেন। তাঁর বছর ৬৫’র বৃদ্ধা মা অনীমা বিশ্বাস ও ভাই টাপু বিশ্বাস সর্বক্ষণ সহযোগিতা করেন। এছাড়াও প্রতিমা গড়তে প্রায় ৭ জন সহযোগী রয়েছেন তাঁর। শিল্পীর এমন সৃষ্টিতে গর্বিত তার পরিবারসহ সমগ্র শিল্পাঞ্চলবাসী।





