TRENDING:

Deucha panchami: গ্রামে প্রকল্প হলে মিলবে চাকরি? ডেউচা-পাচামিতে দুই কন্যার কাহিনি

Last Updated:

Deucha panchami: দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর লড়াই হরিণসিংহার মুখে-মুখে৷ 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বীরভূম: ডেউচা-পাচামির দুই কন্যার গল্প। যারা পাথর ভেঙেছে। যারা বাবা-মায়ের সাথে দিন মজুর খেটেছে। তারাই আবার বইয়ে মুখ গুঁজে পড়ে থেকে সসম্মানে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার কঠিন লড়াই চালাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্যে। দুই কন্যার স্বপ্ন গ্রামে খনি প্রকল্প চালু হোক৷ তাতে তাদের চাকরি জুটবে। বাবা-মা বা ছোট ভাইকে কষ্ট করে দিন গুজরান করতে হবে না। এটাই মানতা আর পালমণির গল্প।
মানতা আর পালমণির গল্প হার মানাবে চিত্রনাট্যকে।
মানতা আর পালমণির গল্প হার মানাবে চিত্রনাট্যকে।
advertisement

পালমণি মূর্মূ, হরিণসিংহা গ্রামের এই মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে৷ আপাতত গ্রাম ছেড়ে পড়াশোনা করে মালাডাঙ সেহেরাগুড়ি বংশীধর উচ্চ বিদ্যালয়ে৷ ছোট বেলায় পালমণির বাবা মারা গিয়েছেন৷ মা-ভাই-ঠাকুমা নিয়ে চলে সংসার। মা আর ঠাকুমা দিন মজুরের কাজ করেন। আর ভাই যায় ক্রাশারে পাথর ভাঙতে। সেই পালমণি অবশ্য জেদ করে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়নি৷ প্রতিদিন বাড়ির লোকের কষ্ট দেখেছে পালমণি। আর সেই পালমণিই বলছে, গ্রামে প্রকল্প হোক৷ তাহলে তার একটা চাকরি হবে। যখনই সময় পায় পালমণি বাড়ির দাওয়ায় হোক বা গ্রামের নাট মন্দিরে বসে পড়াশোনা করে। পালমণি জানাচ্ছে, "অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়। এই ছোট বয়সে কাজ করতে গিয়েই ভাইয়ের শরীর খারাপ হচ্ছে। ঠাকুমা-মা'য়ের বয়স হচ্ছে তাদেরও শরীর আর দিচ্ছে না। আমি চাইছি একটা ভালো কাজ তাড়াতাড়ি পেতে। তাতে আমার পরিবার ভালো থাকবে৷ শুনছি গ্রামে খনি প্রকল্প হবে৷ আর সেই কাজ হলে ভালোই  হবে।"

advertisement

আরও পড়ুন-নাম বদলে যাবে দেশের প্রথম অত্যাধুনিক রেল স্টেশনের!

তবে পালমণিও চায়, গ্রামের সবাইকে সহমত করে কাজ এগোক। কারও যেন সমস্যা বা ক্ষতি যেন না হয়৷ আর এই আবেদন রেখেই কঠিন লড়াই চালাচ্ছে পালমণি।

এই লড়াই থেকে পিছিয়ে নেই মানতা। মানতা সোরেন হরিণসিংহা গ্রামের বাসিন্দা। নাটমন্দির থেকে হাটের মাঝামাঝি ধরে কামারশালার দিকে এগোলেই দেখা যাবে মানতাকে৷ বাবার দু'বার অপারেশন হয়ে গেছে। মা আর বাবা যদিও দিন মজুরের কাজ এখনও করে৷ দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে আয়৷ আর এই আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে মানতা সোরেন৷ নেতাজী বিদ্যামন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীরও স্বপ্ন গ্রামে একটা প্রকল্প আসুক৷ তাহলে অন্তত তাদের একটা চাকরি হবে।

advertisement

আরও পড়ুন- ‘‌স্পেশাল’‌ তকমা ফেলে পুরোনো ফর্মে ফিরছে ভারতীয় রেল, কেমন হবে সফর খরচ

মানতা জানিয়েছে, "কষ্ট করে পড়াশোনা শিখছি, নিজের পায়ে দাঁড়াব বলে৷ আমিও স্বপ্ন দেখি, আমার একটা ভালো কাজ হবে৷ আমার কাজ হলে সংসারটা চলে যাবে। বাবা অসুস্থ, মায়ের বয়স হচ্ছে তারা আর কাজ করতে পারছে না। গ্রামে প্রকল্প হলে আমরা যা পাব তা দিয়ে আগামীদিন ভালো ভাবে চলবে আমাদের।" তবে মানতাও চায় সবার সাথে কথা বলে সহমত পোষণ করে কাজ হোক৷ ডেউচা পাচামি এলাকায় বহু ছেলে মেয়ে আছে যারা চাইছে আগামীদিনে পড়াশোনা করে ভালো জায়গায় চাকরি পেতে৷ তাই তারা অপেক্ষায় আছে কবে আর কিভাবে গড়ে উঠবে প্রকল্প।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Deucha panchami: গ্রামে প্রকল্প হলে মিলবে চাকরি? ডেউচা-পাচামিতে দুই কন্যার কাহিনি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল