জানা গেছে হাওড়ার ডোমজুড় এলাকায় একটি গেঞ্জি কারখানায় প্রিন্টিং এর কাজ করত বাঁকুড়ার ছাতনা থানার তেঘরি গ্রামের যুবক রাহুল বাউরী । যে কারখানায় ওই যুবক কাজ করত তার পাশেই অপর একটি গেঞ্জি কারখানার মালিকের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের। সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ে নাবালিকা থাকায় এখনই দু’জনের বিয়ে দিতে নারাজ ছিল মেয়ের পরিবার।
advertisement
গত ১৫ নভেম্বর দক্ষিনেশ্বরে পুজো দেওয়ার নাম করে নাবালিকার বাড়ি থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে বের হয়ে দু’জনে উধাও হয়ে যায়। নাবালিকার পরিবারের দাবি, দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পর দু’জনের ফোনেই যোগাযোগের চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু দু’জনের ফোনই সুইচ অফ ছিল। পরের দিন নাবালিকার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে যখন নাবালিকার খোঁজ চালাচ্ছিলেন সেই সময় রাহুল ফোন করে তাঁদের জানায় তারা বাঁকুড়ার ধগড়া গ্রামে চলে এসেছিল। কিন্তু সেখানে এসেই ওই নাবালিকা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেতেই তড়িঘড়ি নাবালিকার পরিবার ছুটে যান বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ তারা হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর গতকাল দিনভর বিচারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করার পর আজ ভোরের দিকে ছাতনা থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে প্রেমিক রাহুল বাউরী ও প্রেমিকের বাবা ধীরেন্দ্রনাথ বাউরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাবালিকার পরিবারের দাবি, নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রেমিক ও তার বাবা মিলে খুন করেছে। অভিযোগ পেতেই ছাতনা থানার পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার বাবাকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে নাবালিকার পরিবার।