উত্তর চব্বিশ পরগনার মছলন্দপুরের নকপুল এলাকার বাসিন্দা বছর ৩১ এর যুবক নীলাদ্রি মৈত্রও যুক্ত ছিলেন চন্দ্রযান ৩-এর অভিযানে সঙ্গে। চন্দ্রযান সফল ভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে তাই উচ্ছ্বাস ধরা পরল নীলাদ্রির মছলন্দপুরের বাড়িতেও। দেশের জয়ের পাশাপাশি ছেলের জয়কেও যেন পরিবারের সকলে উদযাপন করলেন টিভির সামনে বসে।
আরও পড়ুন: শুঁটকির চপ খেয়েছেন! গন্ধ নেই! স্বাদে দারুণ! রইল ঠিকানা! ভিড় সামলানো মুশকিল
advertisement
যদিও কর্মসূত্রে বাবা-মার সঙ্গে কর্মস্থলেই রয়েছেন নীলাদ্রি। বছর চারেক আগে শেষ এসেছিলেন মছলন্দপুরে। তারপর থেকেই চন্দ্রযান ৩-এর কাজের সুবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেধাবী এই যুবক। ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আজ নীলাদ্রিকে নিয়ে গর্বিত। উচ্ছাস ধরা পড়েছে নীলাদ্রির পাড়াতেও।
আরও পড়ুন:
নীলাদ্রি এয়ার স্পেস কাম সাইন্টিস্ট পদে চাকরি করছেন গত ১০ বছর ধরে। মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুর স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হয় সে। পরবর্তীতে বি টেক পড়তে পড়তেই দক্ষিণের কেরালায় পাড়ি। ইসরোর তৈরি চন্দ্র অভিযানের অংশ হতে পেরে পাশাপাশি ভারতের চাঁদের বুকে পা রাখার ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পেরে আজ খুশি নীলাদ্রিও। শেষ মুহূর্ত উৎকণ্ঠায় কাঁপছিল গোটা ইসরোর কন্ট্রোল রুম। বিক্রম চাঁদের পৃষ্ঠে নির্বিঘ্নে নামতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ইসরোর বিজ্ঞানীরা, চাঁদের বুকে সফল এই অভিযানে আগামী দিনে আরও নতুন কিছু উঠে আসবে বলেও আশা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বলে, জানান নীলাদ্রি। ভারত মহাকাশ গবেষণায় যেমন মাইলস্টোন স্থাপন করল, পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার এই যুবকের হাত ধরে দেশের সাফল্যের ইতিহাসেও স্মরণীয় হয়ে থাকল মছলন্দপুর।
Rudra Narayan Roy