নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে দল বদল নতুন কিছু নয়৷ সুযোগ বুঝে বিজেপি নেতাদের শাসক দলে যোগ দেওয়ার খবরও নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু যে নির্মল ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেই নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ ওঠার কারণে নির্মল ঘোষ গ্রেফতারও হন । ছ’বছর জেলে ছিলেন তিনি। এর পর জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন বিজেপি নেতা৷ এবার সেই নেতাই যোগ দিলেন তৃণমূলে৷ দলের বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার যোগদানে শাসক দলের অন্দরেও জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে৷
advertisement
নির্মল ঘোষের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তৃণমূলের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের যুব সভাপতি শুভজিৎ সরকার বলেন, ‘দল যেটা ভাল বুঝেছে সেটা করেছে। আমাদের দল সর্বভারতীয় দল, তারা অনেক চিন্তা ভাবনা করে, রাজ্য নেতৃত্ব যোগ্যতা বিচার করেই কাউকে দলে যোগদানের ছাড়পত্র দেয়। দল যে সিদ্ধান্ত নেয় আমরা তা মেনে চলি।’
তবে এ বিষয়ে জেলা বিজেপির নেতা অমিত প্রামাণিক বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর বিষয়৷ যে বিজেপি নেতা তৃণমূলের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে ছ’বছর জেল খেটে বাড়ি ফিরলেন, তাঁকেই আবার তৃণমূল পতাকা হাতে যোগদান করালো। যে তৃণমূলের নেতারা অভিযোগ করেন বিজেপি মানে ওয়াশিং মেশিন, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেলেই সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়, তাদের জেনে রাখা উচিত তাঁদের বিধায়ক খুনের আসামীকে দলীয় পতাকা নিয়ে যোগদান করাচ্ছে।’
আপাতত নির্মল ঘোষের তৃণমূলের যোগদান করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে গোটা জেলা জুড়ে।