দুর্ঘটনার জেরে বাইকে থাকা আরও দুই যুবক মুস্তাকিন মণ্ডল ও প্রসেনজিৎ মণ্ডল গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বাড়ি বনগাঁ থানার গাড়াপোতার পাগলতলা এলাকায়। ইঞ্জিন ভ্যানচালক মৃত তরণী সেনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মেলায় দোকান দিয়েছিল তিনি। রাতে মেলা শেষ করে বাগদা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত তরণী সেনের সঙ্গে আরও দু’জন সহকর্মী ছিলেন। তাঁরা অন্য ইঞ্জিন ভ্যানে করে আসছিলেন। সহকর্মী বিষ্ণু দাস বলেন, দাদা ইঞ্জিনভ্যান নিয়ে রাস্তার বাঁদিকে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় একটি বাইক সজোরে এসে ইঞ্জিনভ্যানে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ইঞ্জিনভ্যান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন দাদা ও বাইকে থাকা তিন যুবক।
advertisement
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! তাঁতিদের তাঁত ঘরে নেই কাপড়, ঝুলছে পেঁয়াজ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ। তিন বাইক আরোহী ও ইঞ্জিন ভ্যানচালকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই ইঞ্জিন ভ্যানচালক এবং এক বাইক আরোহীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি আছে আরও দুই যুবক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এমন একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছে না ইঞ্জিন ভ্যান চালক তরণী সেনের পরিবার। সংসারে তিনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে।
রুদ্রনারায়ণ রায়