আরও পড়ুন: বিশাল উদ্যোগ আসানসোল পুরনিগমের, জেলা ছাড়িয়ে উপকৃত হবে পাশের রাজ্যও
স্মৃতিবিজড়িত আমোদপুর থেকে কাটোয়া পর্যন্ত ছোট লাইনের ট্রেন এখন ইতিহাস। এখন ব্রডগেজ রেললাইন। যদিও ট্রেন চলে মাত্র দুটি। অনামি সেই ‘গঞ্জ’ এখনও শহর হিসেবে তকমা না পেলেও কী নেই লাভপুরে। স্কুল-কলেজ থেকে হাসপাতাল, ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট, বাসস্ট্যান্ড সব মিলিয়ে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার ছিল ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ। পরিবারে তারা মায়ের পুজো শুরু হওয়ার পরেই তাঁর জন্ম। তাই নাম রাখা হয় তারাশঙ্কর। আর মাঘী পূর্ণিমার শতাব্দী প্রাচীন ফুল্লরা মেলা মানেই হাজার হাজার ভক্তের ভিড়। চিড়ে ও মুড়ির ভোগই ৫১ সতীপীঠের অন্যতম লাভপুরের মা ফুল্লরা অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
advertisement
প্রথা মেনে ১২৫ তম ফুল্লরা মেলার উদ্বোধন হয়েছে শনিবার। এখন ১৬ দিন ধরে চলে মিলন মেলা। গ্রামীণ গৃহস্থের মেলাও সময়ের সঙ্গে বদলেছে। বৈদ্যুতিক বাতি, মাইক, ব্যান্ডের গান মেলার পুরানো ঐতিহ্যকে অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে। মাটির হাঁড়ি-কলসি, শীল-নোড়া, পাথরবাটি আর নেই। হারিয়ে গিয়েছে গরুর গাড়ি থেকে সংগ্রহ করা গাবরের ডাকও।
ফুল্লরার মেলায় এখন মাঠজুড়ে গরুর গাড়ির পরিবর্তে বাইক, চার চাকাগাড়ি, টোটো-অটোর ভিড়। হস্ত ও কুটির শিল্পজাত দ্রব্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাঁশ-বেতের তৈরি ডালা, কুলো, হাতপাখা, শীতল পাটি, নকশিকাঁথা, নারকেলকোরা, মাছ ধরার কোঁচ, পলো, ঝাঁকিজাল ইত্যাদি। কামারের তৈরি লোহার জিনিসের মধ্যে দাঁ, কাস্তে, ছুরি, খুন্তি, কোদাল, শাবল, বঁটি। কাঠের তৈরি সামগ্রী পিঁড়ি, জলচৌকি, চেয়ার, টেবিল, লাঙল-জোয়ালও এই মেলায় গেলেই দেখতে পাওয়া যায়। বর্ণাঢ্য সাজ, চারদিকে কোলাহল, বিচিত্র আওয়াজে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত। সঙ্গে ঘর-গেরস্থালির নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রসনালোভন খাবারের বিভিন্ন উপকরণ ছাড়াও দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য লাঠিখেলা, কুস্তি, পুতুলনাচ, যাত্রা, কবিগান, বাউল-ফকিরের গান সুরে যেন উৎসবের আমেজ। হোম যজ্ঞ থেকে মাতৃ আরাধনার নানা পর্ব ছাড়াও রয়েছে লোকসংস্কৃতিরও অনুষ্ঠান।
সৌভিক রায়