সবমিলিয়ে চরম ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার মৃৎশিল্পীরা। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের পুরনো হাটতলার মৃৎশিল্পীরা এখন প্রতিমা গড়ার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু মেঘলা ওয়েদার ও বৃষ্টির কারণে কিভাবে প্রতিমার কাজ সম্পন্ন করবেন, সেই দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে তাদের। একসঙ্গে তিন থেকে চার রকমের প্রতিমা গড়তে হচ্ছে তাদেরকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর পুজোর দিনক্ষণ কাছাকাছি। অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজো, মনসা পুজো, দুর্গা পুজো, ও লক্ষীপুজো কাছাকাছি।
advertisement
আরও পড়ুন : নারীর হাতে শিল্পের জাদু! বাড়ির কোণেই জীবন্ত হয়ে উঠছে দুর্গা! প্রতিমা যাচ্ছে জেলার কোণে কোণে
তাই একসঙ্গেই এইসব প্রতিমা গড়তে হচ্ছে তাদের। এই পুজোর সময় লক্ষ্মী লাভের আশায় থাকেন শিল্পীরা। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও প্রতিমা গড়ার বরাত পেয়েছেন তারা। তাই সকাল থেকেই কাজের ব্যস্ততা শিল্পীদের। তবে মেঘলা ওয়েদার ও বৃষ্টির কারণে দুশ্চিন্তায় অনেকের রাতের ঘুম উড়েছে। কখন প্রতিমা গড়ার কাজ সম্পূর্ণ করবেন, কখনই বা পুজো উদ্যোক্তাদের হাতে প্রতিমা তুলে দেবেন, সেই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে শিল্পীদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাই কাজের চাপে নাওয়া খাওয়া ভুলেছে তারা। এখানকার এক একজন শিল্পীরা বিশ্বকর্মা প্রতিমা গড়ছেন ২০ থেকে ২৫ টি করে। মা দুর্গার প্রতিমা গড়ছেন ১৫ থেকে ২০ টি করে। মা লক্ষ্মীর প্রতিমা গড়ছেন ১০ থেকে ১৫ টি করে এবং মা মনসার প্রতিমা গড়ছেন পাঁচ থেকে দশটি করে। সবমিলিয়ে প্রতিমা গড়ার কাজে শিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। কিন্তু তাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেঘলা ওয়েদার ও বৃষ্টি। কিভাবে মাটির প্রতিমা শুকনো হবে, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে শিল্পীদের।