রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বর্ধমানে এক কর্মসূচিতে এসে সাফ জানিয়েছেন, কেউ এমন বলে থাকলে বা করে থাকলে থাকে জেলাস্তরেই এর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবে। তা না হলে তাঁর কাছে অভিযোগ গেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
কাটমানি নিয়ে এবারের নির্বাচনী প্রচারে সবথেকে বেশী সরব হয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু এখনও যে সেই কাটমানি নেওয়ার অভ্যাস থেকে সরে আসতে পারেনি শাসক দলের অনেকেই। তার প্রমাণ মিলল গলসির ২ দু নম্বর ব্লকের গোহগ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ পরিস্কার জানিয়ে দেন, ‘পঞ্চায়েতের টেন্ডার অফলাইনে করা হলে সেখান থেকে আসা টাকায় দলের খরচা চলবে। দলের বিভিন্ন খরচের জন্য টাকার প্রয়োজন। সেই জন্যই অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইনে করার কথাই ভাবা হয়েছিল।’
advertisement
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিমল ভক্ত বলেন, ‘অনলাইনে টেন্ডার করার প্রক্রিয়া করার পরেও কেন সেই নোটিশ টাঙানো হলনা সেটা জানতে চেয়ে আমরা জানতে পারি প্রধান অফলাইন টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানকে আমরা বলেছি কেন এটা করা হল। উনি বলছেন অফলাইনে করতে হবে এটা পার্টির কিছু নেতা ওনাকে নির্দেশ দিয়েছে। অফলাইনে করলে সেই টাকা কিছু লোকের পকেটে ঢুকবে। পার্টির কিছু নেতা এই নির্দেশ দিচ্ছে প্রধানকে। পার্টির ও সরকারের ভাবমূর্তির স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই আমরা চেয়েছি এটা অনলাইনে করা হোক। সেটা নিয়েই অশান্তি গন্ডগোল। কিছু ঠিকাদার বিনা প্রতিযোগিতায় বরাত পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে কাটমানি নেওয়া হবে । আর সেই টাকাতেই নেতাদের পকেটে ভরবে । তাই কিছু নেতাদের কথা শুনে প্রধান এমন কাজ করতে চাইছেন। তবে সেটা কোন নেতাদের কথা তা পঞ্চায়েত প্রধান বলতে পারবেন। আমরা চাই পঞ্চায়েতের কাজ স্বচ্ছতার সাথে হোক । আর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখে সরকারের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করুক।