৬২২ তম বর্ষে পদার্পন করল শ্রীরামপুর মাহেশের জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। মাহেশে আজও মেনে চলা হয় পুরনো রীতি ৷ স্নানপিঁড়িতে জগন্নাথের সঙ্গে স্নান করেন বলরাম আর শুভদ্রাও ৷ সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জগন্নাথদেবের স্নান মঞ্চে নিয়ে আসা হয়েছে তিন বিগ্রহকে ৷
প্রথা মতো এখনও ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল ও দু’মণ দুধ দিয়ে স্নান করানো হয় বিগ্রহকে ৷ ভোর থেকে তিন বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে বারান্দায় এনে রাখা হয়েছে ভক্তদের দর্শনের উদেশ্যে। স্নানযাত্রার পর তিন বিগ্রহকে কম্বলে মুড়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে রাখা হবে। এরপর রথের আগের দিন জগন্নাথদেবকে পরানো হবে রাজবেশ । ভগবানের সেই রূপকে তখন নবযৌবন বলা হয়। এরপর ১৪ ই জুলাই রথযাত্রার দিন তিন বিগ্রহ রথে চেপে মাসীর বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনার কুয়ো থেকে তোলা ১০৮ ঘটি জলে স্নানযাত্রা শুরু পুরীর জগন্নাথদেবের
আজ স্নানযাত্রা দেখতে মাহেশের পথে পথে ভিড় জমিয়েছেন নানা জায়গা থেকে আসা প্রায় কয়েক হাজার ভক্ত ৷ স্নানপিঁড়ি মাঠে তিল ধারণের জায়গা নেই।
এ বছর রথযাত্রার পর অবশ্য মাহেশের মাথায় নতুন একটি মুকুট ওঠার কথা ৷ মন্দিরের প্রধান সেবাইত সৌমেন অধিকারী জানান, মাহেশে শীঘ্রই পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে ৷ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেছেন ৷