জিন্দেগিকে সফর মে গুজর যাতি মকাম ও ফির নেহি আতে - আনন্দ বক্সীর সুরে, রাহুল দেববর্মনের অনবদ্য সুরে, কিশোর কুমারের কণ্ঠে রাজেশ খান্নার মন মাতানো অভিব্যক্তি ৷ সত্যি কোনও কিছুই যেন আর ফিরে আসেনা যা একবার চলে যায় ৷ ১৯৪২ সালের ২৯ ডিসেম্বরে অমৃতসরে জন্মেছিলেন যতীন খান্না ! অবশ্য তখনও তিনি রাজেশ হয়ে ওঠেননি, হয়ে ওঠেননি বলিউডের রাজেশ খান্না ৷ প্রবল প্রতিযোগিতায় তৈরি করেছিলেন এক নিজস্বতা ৷
advertisement
শুধুই অভিনয় নয়, অভিনয় ছাড়াও রাজনীতি ও চলচ্চিত্র প্রযোজনায় তিনি সমান উজ্জ্বল ছিলেন ৷ পরে অবশ্য রাজনীতির আঙিনায় তাঁকে তেমন ভাবে লক্ষ করা যায়নি ৷ ১৯৬৬ সালে আখরি খত ছায়াছবি দিয়েই বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন রাজেশ খান্না ৷ তারপর এক এক করে সাফল্যের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিলেন রাজেশ খান্না ৷ হাম দেনো, মেরে জীবন সাথী, আরাধনা, কাটি পতং, বাওয়ারচি, নয়া কদম, আনন্দ সহ একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের ৷
পর্দার জীবনের মত তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বর্ণময় ৷ স্ত্রী ডিম্পলের সঙ্গে জীবনে কখনও চড়াই, কখনও উতরাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন বর্ণে তাঁর জীবন কেটেছে ৷ দুই মেয়ে টুইঙ্কেল ও রিঙ্কিই তাঁর পৃথিবী ৷ পরে বড় জামাই তথা বলিউড স্টার অক্ষয় কুমারও তাঁর খুব কাছে এসেছিলেন ৷ এক কথায় বলিউডের প্রথম সুপারস্টার ছিলেন ঘরে বাইরে সব জায়গায়তেই সমান সাবলীল ৷
ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানও পেয়েছে স্বীকৃতি একধিক পুরস্কারের সঙ্গে সঙ্গে ২০১৩ সালে পদ্মভূষণে সম্মানিত করা হয়েছিল তাঁকে ৷ মৃত্যুর আগে বেশ কিছুদিন তাঁকে রোগ ভোগও করতে হয়েছিল ৷ ২০১২ সালে মাত্র ৬৯ বছর বয়সে, ঠিক আজকের দিনেই জীবনকে আলবিদা বলেছিলেন বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা হ্যান্ডসাম রাজেশ খান্না ৷ আজও দর্শকদের মননে সমান ভাবেই তাঁর উপস্থিতি লক্ষ করা যায় ৷
আরও পড়ুন : FlashBack: রাজেশ খান্নার দেরিতে আসায় বন্ধ হয়েছিল ‘আনন্দ’-এর শ্যুটিং !