অন্যদিকে, চরম গরমে নাজেহাল কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ ৷ তাপমাত্রার পারদ রোজ রোজ উর্ধ্বমুখী ৷ তাপপ্রবাহের চাপে নাভিশ্বাস অবস্থা শহরবাসীর ৷ এরই মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিল আলিপুর আবহওয়া দফতর ৷ ২১ জুনের পর থেকেই কিছুটা হলেও গরম কমবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে ৷ রয়েছে তাপপ্রবাহ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও ৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাল, ২৩ থেকেই ফের বৃষ্টির মুখ দেখবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ ৷ ২৩ থেকে ২৫ সক্রিয় হবে মৌসুমি বায়ু৷ আর যার ফলেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ৷
advertisement
মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ৷
আসানসোল, বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর সব জেলাতেই চলছে লু-এর দাপট ৷ আজ পুরুলিায় তাপমাত্রা সর্ব্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি , সকাল থেকেই সূর্যের তাপে পু্ঁড়ছে জেলা বাসী, তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পথচারীরা, বেলা বাড়ছে যত গরম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গরমের কারনে রাস্তা ফাঁকা কার্যত।
আজ ঝাড়গ্রামের সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ৷ সকাল থেকেই সূর্যের তাপে পু্ঁড়ছে জেলা বাসী, তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পথচারীরা।সকালেই তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি। বেলা বাড়লে সেটা ৪৩ ডিগ্রিতে দারাচ্ছে। অার তার জেরে নাজেহাল ঝাড়গ্রাম বাসী। রাতে তাপমাত্রা কমলেও গরম কমছেনা এক ফোটাও। সকাল সকাল প্রয়জনীয় কাজ করে ঘরমুখি মানুষ। গত চারদিন একটানা উচ্চতাপমাত্রায় বমি, ডাইরিয়া, স্বাস কষ্ট র রুগীর সংখ্যাও বার ছে হাসপাতালে। জামাই রাও ঝাড়গ্রাম মুখি নাহতে পারলেই বাঁচেন। তাই সেই অর্থে বাজারে ভিড় ও নেই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রয়জনে বেরোনো মানুষজনের ভিড়, ঠান্ডা পানীয় ও ডাবের দোকানে। অবিলম্বে বৃষ্টি না হলে চরম সমস্যায় পড়বেন এলাকাবাসী।
বাঁকুড়ায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.০৫ ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.০২ ৷
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত । তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি । বেলা দশটার পর থেকেই লু বইছে বর্ধমান শহরে । চাদর ওড়না রুমালে নাক মুখ বেঁধে পথে কাজে বেরোচ্ছেন বাসিন্দারা । সব মিলিয়ে অস্বাভাবিক গরম একরকম অসহনীয় হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের৷