গোটা ভারতকে একটি পুলিশ স্টেশন বানিয়ে ফেললে সমস্যার সমাধান হবে না, বরং ১০০ কোটি মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে মোদি দেশে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন ও সেইসঙ্গে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, মন্তব্য রাহুলের ।
advertisement
বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গওবা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯ (১) ধারা অনুযায়ী,...দেশের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও, যে কোনও সময়, যে কোনও কম্পিউটারে নজরদারি চালাতে পারবে ১০টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ আইবি, র, সিবিআই, ইডি, এনআইএ, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টিলিজেন্স, ডিরেক্টরেট অফ সিগনাল ইনটিলিজেন্স এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনার ৷ এই ১০টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই অধিকার দেওয়া হয়েছে।
এই রায়ের পরই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষও। কেবলমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ব্যক্তিগত মোবাইল ও কম্পিউটার চালানোর নির্দেশিকা পুরোপুরি অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার বিরোধী । ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস ও এআইএমআইএম । যদিও কেন্দ্রের দাবি দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । কংগ্রেস চালিত ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০৯ সালেই তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে তথ্য নজরদারির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল ।