অভিযোগ বহুদিনের। সচেতনতা নিয়ে ঢাকঢেোল পেটানোই সার। বেশিরভাগ জায়গাতেই আজও তারা ব্রাত্য। পদে পদে ধাক্কা খাচ্ছে তাঁদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের উদ্যোগ। বেশিরভাগ জায়গায় তৈরিই হয়নি তাদের যাতায়াতে বিশেষ র্যাম্প। তাঁরা ডিফারেন্টলি এবেল্ড। সোজা কথায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী।
সেপ্টেম্বরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এসে এইরকমই অভিজ্ঞতা হয়েছিল সুরাতের ডিসেবেল্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি কানুভাই টেলরের। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে কয়েকজন তাঁকে তুলে মন্দিরের ভেতর নিয়ে যান। অপমানিত হয়েছিলেন। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ র্র্যাম্প তৈরির আবেদন নিয়ে সেদিনই কথা বলেছিলেন পুরীর কালেক্টর অরবিন্দ আগরওয়ালের সঙ্গে । এরপর মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক। মন্দিরের উত্তর গেটে তৈরি হয় পঞ্চাশ মিটার লম্বা এবং ছয় ফুট চওড়া র্যাম্প। গুজরাট থেকে ১৪০ জন ডিফারেন্টলি এবেল্ড পুরীতে এসে তো অবাক। খুশীও। নতুন তৈরি র্যাম্প দিয়ে হুইলচেয়ারে করে তাঁরা মন্দিরে ঢুকে পুজো দেন। জগন্নাথের সেবাইতরা তাঁদের বিশেষ ভোগ দিয়ে স্বাগত জানান।
advertisement
মন্দির কতৃপক্ষ তাঁদের কোনারক ঘোরার ব্যবস্থাও করে দেন। দেশের অনেক মন্দিরেই বিশেষ র্যাম্পের ব্যবস্থা আছে। এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এই বিশেষ ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন দেশ-বিদেশের মানুষ।