সংস্হার পক্ষে অর্ণব দাস বলেন, প্রকৃতির রুদ্ররোষে গোটা পৃথিবী বিশ্ব উষ্ণায়নের পদানত। এই পৃথিবীকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে কিছুটা ঋণ শোধের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যেখানে বৃক্ষ পুজো ,বৃক্ষ রোপণ, জলাশয়ে মাছ ছাড়া, পশু পাখিদের প্রকৃতির কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস মহোদয়, বর্ধমানের প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুন: বিপদের নাম বিপর্যয়! পরিণত হল ঘূর্ণিঝড়ে, কোন কোন রাজ্যে তাণ্ডবের ইঙ্গিত?
অসহায় পশু পাখি, লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণ নিয়ে সারা বছর ধরে কাজ করে চলেছে বাডুয়ান সোসাইটি ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার। এই সংস্হা সারা বছর ধরেই চালিয়ে আসছে পথ কুকুরদের ভ্যাকসিনেশন, তাদের নির্বীজকরণের কাজ। কোথাও কোনও পশু পাখি অসহায় অবস্থায় রয়েছে শুনলেই সেখানে হাজির হয়ে যায় এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। কয়েক দিন আগেই একটি হনুমান শাবককে উদ্ধার করে তাকে অপত্য স্নেহে লালন পালন করেছে এই সংস্থার সদস্যরা।
বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিটি প্রাণী এবং উদ্ভিদ সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই কারও প্রতি অবহেলা, বঞ্চনা নয়, প্রত্যেক প্রাণীর পাশে থাকুন। সুস্হ পরিবেশ গড়ে তুলুন।’
উদ্যোক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী শিল্পায়ন ও নগরায়নের কারণে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাস্য নষ্ট হয়ে মানুষের স্বাস্থ্য ও জলবায়ু হুমকির মুখে পড়ছে। আমাদের পরিবেশ রক্ষায় গাছপালার ভূমিকা অপরিসীম। প্রত্যেকটি প্রাণীই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বৃক্ষা বা উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। এক কথায় বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবীতে জীবজগৎ অকল্পনীয় ব্যাপার।
বৃক্ষ বায়ুদূষণ কম করে বাতাস বিশুদ্ধ রাখে। বৃক্ষ বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে। বৃক্ষের অভাবে উর্বর উৎপাদনশীল মাটি ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হয়। মাটির উর্বরতা বজায় রাখার জন্য দরকার বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাত ঘটাতে আবশ্যক গাছপালা। পরিবেশ দূষণ কমিয়ে এবং পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে উদ্ভিদ মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের উন্নতিতে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।