২৪ জুন অসম থেকে দিল্লি রওনা হওয়ার জন্য নিজের গর্ভবতী স্ত্রী ডলি গোস্বামীকে নিয়ে গুয়াহাটি এয়ারপোর্টে আসেন শিবম সামরা। তখনও তিনি জানতেন না তাদের জন্যে ভিতরে কী হয়রানি অপেক্ষা করছে।
গর্ভাবস্থার প্রায় ছমাস পূর্ণ হওয়া ডলি গোস্বামীকে দেখে বোর্ডিংয়ের সময় সন্দেহ হয় কর্তব্যরত CISF সাব ইনস্পেকটরের মনে। গর্ভস্থ শিশুর কথা ভেবে ডলি মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করতে বারণ করেন। তাতে মহিলা নিরাপত্তা কর্মীদের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। সন্দেহ মেটাতে নিজের পরনের পোশাকটি খুলে ফেলতে বলা হয় ওই মহিলা যাত্রীকে। ডাক্তারি রিপোর্ট দেখার কথা বলেও পার পাননি ওই অন্তঃসত্ত্বা। শারীরিক অসুবিধা সত্ত্বেও তাঁকে CISF মহিলা কর্মীরা বিবস্ত্র করে তল্লাশি নিয়ে তবেই বিমানে চড়তে দেন বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন
বিবাহিতদের জন্য সুখবর আনল পাসপোর্টের নয়া নিয়ম
নিজের স্ত্রীর এমন হয়রানি মানতে না পেরে পুরো ঘটনা ট্যুইটারে লিখে অভিযোগ করেন শিবম সামরা। এই অভিযোগের জবাবে CISF -এর তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের ভিতরে আকাশ পথে সোনার চোরাচালান বেড়েছে। তাই কোনওভাবেই কাউকে চেক না করে বিমানে চড়তে দেওয়া নিয়মবিরুদ্ধ। ডলি গোস্বামী মেটাল ডিটেক্টরে চেক করতে না দেওয়ায় সন্দেহ নিরসন করতেই যাত্রীর দেহ পরীক্ষা করতে এমন উপায় নিতে বাধ্য হয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তবে CISF -এর তরফ থেকে এই বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে, ওই কর্তব্যরত CISF মহিলা কর্মীকে চেকিং ডিপার্টমেন্ট থেকে বদলি খবরও পাওয়া গিয়েছে।