ঘরোয়া হিংসা বা ঘরোয়া অত্যাচারের ঘটনা আমাদের ভারতীয় সমাজে নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার মহিলা এই ধরনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। মধ্যপ্রদেশের রতলাম জেলায় শুক্রবার রাতে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল জনতা। মধ্যরাতে মাঝরাস্তায় স্ত্রীকে মারধর করেন স্বামী। প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া এই পারিবারিক ঘটনার ভিডিও এখন ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মহিলাকে বেধড়ক মারার পর দীপক টঙ্ক নামের ওই ব্যক্তি আবার নতুন করে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগেই ঘটনার আঁচ করতে পেরে তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি তাঁর পরিবারের সঙ্গে জওহরনগরে নিজের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে যান (Viral Video)।
advertisement
জানা গিয়েছে, পিঙ্কির আগমনের পরেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অজ্ঞাতে মহিলার স্বামী তাঁকে টানতে টানতে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে আসেন, তার পরেই শুরু হয় বেধড়ক মারধর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর, ওই অঞ্চলের অন্তর্গত থানার পুলিশ বিষয়টিতে নজর দেয় এবং তার পরেই অভিযুক্ত স্বামী দীপক টঙ্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। নির্যাতিতা পিঙ্কি জানান, একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় দীপকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সামান্য পরিচয় থেকে ভালবাসার সম্পর্ক গড়াতে খুব একটা বেশি দিন সময় নেয়নি। প্রায় তিন বছর আগে পিঙ্কি পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন দীপককে। কিছু দিন সবকিছু ঠিকঠাক চললেও পরে দীপকের মা তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন।
মহিলা জানান, কয়েক মাস পর দীপক তাঁকে বাপের বাড়িতে ছেড়ে ফিরে যান এবং একাই নিজের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। শুক্রবার খবর পাওয়া যায় যে, জাভরার অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে দীপকের দ্বিতীয় বাগদান হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গেলেও স্বামী তাঁকে মারধর শুরু করেন। হামলায় ওই মহিলা মাথায় ও পেটে গুরুতর ভাবে চোট পেয়েছেন। আপাতত তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।