এই বিষয়ে বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তাঁর নাম নাথুনি পাল। তিনি ভাগলপুরের শাহকুন্ড ব্লক এলাকার জাগারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের পৈতৃক ব্যবসা হল কম্বল তৈরি ও বিক্রি করা। ৮৫ বছর বয়সি নাথুনি পাল প্রতিদিন তাঁর গ্রাম থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে মুঙ্গেরে পৌঁছন। এখানে আসারগঞ্জ, তারাপুর ও সাংরাপুর এলাকায় ঘুরে ঘুরে কম্বল বিক্রি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মেয়েদের কী না থাকলে বিয়ে হয় না...? ৯৯% মানুষই দিয়েছেন ভুল উত্তর! আপনি জানেন?
আরও পড়ুন: কোটি কোটি মানুষের জন্য সুখবর! রেশন কার্ড প্রসঙ্গে বড়সড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
সারা বছর আবহাওয়া যেমনই থাক, নাথুনি পাল প্রতিদিনই মাথায় কম্বলের বোঝা নিয়ে বিক্রি করতে বের হন।
নাথুনি পাল জানিয়েছেন, যে পাল সম্প্রদায়ে তাঁর জন্ম সেখানে একেবারে ছোট থেকেই তিনি কম্বল তৈরির কাজ শিখেছেন। এটিই তাঁর পৈতৃক পেশা। এজন্য তিনি সারা বছর ধরেই কম্বল তৈরি করে বিক্রি করেন। এছাড়া অন্য কোনও কাজও তাঁর জানা নেই। খানিকটা অসহায় হয়েই তাঁকে সময়-অসময়ে কম্বল বিক্রি করে যেতে হয়। এই টাকাতেই সংসারের দেখভালের দায়িত্বও তার। তিনি আরও জানান, শীতকালে যে কম্বল বিক্রি হয় ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়, গ্রীষ্মের মরশুমে সেই কম্বলই মাত্র ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়।
নাথুনি জানিয়েছেন, তিনি কম্বল তৈরির কাজ ছাড়া কৃষিকাজও জানতেন, তবে এই বয়সে পৌঁছে এই কাজ ছাড়তে পারছেন না। কম্বল বিক্রি করাই এখন তাঁর অগ্রাধিকার, এর মাধ্যমেই তিনি বেঁচে থাকেন। গরমের সময় কম্বলের দাম কম থাকায় বিক্রির পরিমাণও বেশি। তাই শীত হোক বা গ্রীষ্ম, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন কম্বল বিক্রি করে যাবেন।