বার্নি আর মার্জোরি একে অপরের পরিচিত। বহু বছর আগে পেনসিলভেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়তেন তাঁরা। প্রেম, বিয়ে এসব তখন মাথাতেও আসেনি। পরে বার্নি ইঞ্জিনিয়ার হন। মার্জোরি শিক্ষিকা। তারপর যে যার জীবনে। বিয়ে-থা করেন। এখন তাঁদের নাতিপুতিও আছে।
গিনেস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ব্লগ পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, কয়েক বছর আগে বৃদ্ধাশ্রমের কস্টিউম পার্টিতে তাঁরা প্রেমে পড়েন। আর যেদিন বার্নির প্রপৌত্রের জন্ম হয়, সেদিন তাঁরা প্রথম ডেটে যান। বাকিটা ইতিহাস।
advertisement
বৃদ্ধাশ্রমেই বার্নির সঙ্গে নতুন করে পরিচয় হয় মার্জোরির। একে ওপরকে নতুন করে আবিষ্কারও করেন তাঁরা। তারপর কস্টিউম পার্টি, প্রেম। এভাবেই ৯ বছর চলার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ওই বৃদ্ধাশ্রমেই ৩ মে আংটি বদল হয়। সম্প্রতি বার্নির হাতে মার্জোরির চুমু খাওয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এমন প্রেমের গল্প লিখলে লোকে গাঁজাখুরি বলেই উড়িয়ে দিত। কিন্তু জীবন কল্পনার চেয়েও রঙিন। তাকে আর কবে গল্পের সীমানায় বাঁধা গিয়েছে। জুইশ ক্রনিক্যাল-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার্নির নাতনি সারাহ সিচারম্যান বলেছেন, “পুরো পরিবারই খুব খুশি। আমরা মনে করি, ওঁরা সৌভাগ্যবান যে এঁকে ওপরকে খুঁজে পেয়েছেন।”
বার্নি এবং মার্জোরির মিলিত বয়স ২০২ বছর ২৭১ দিন। সারাহ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেছেন, “একসঙ্গে থাকলে ওঁদের বয়স কমে যায়। একে অন্যের রসবোধও খুব উপভোগ করেন। প্রশংসা করেন বুদ্ধিমত্তার।” বৃদ্ধাশ্রমেই নতুন দাম্পত্যজীবন শুরু করেছেন তাঁরা।
বার্নি এবং মার্জোরির বিয়ে দিয়েছেন অ্যাডাম ওলবার্গ। তিনিই ছিলেন ‘পুরোহিত’। আনুষ্ঠানিক বিয়ের পর নবদম্পতিকে পরামর্শ দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে বার্নিদের বিয়েতে সে পথে হাঁটেননি অ্যাডাম। শুধু বলেছিলেন, “আপনারা অভিজ্ঞ। ইতিমধ্যেই জীবনের অমূল্য জ্ঞান অর্জন করেছেন। আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গী, অনুভূতি এবং সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ম্যাচিউর। আগামীদিনে এভাবেই এগিয়ে চলুন।”Ci
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, তাঁদের দীর্ঘ জীবন নিয়েও মুখ খুলেছেন নবদম্পতি। বার্নি বলেছেন “পড়াশোনা আর সব কিছুতে আপডেট” থাকাই তাঁকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে। আর মার্জোরি দীর্ঘজীবনের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন ‘বাটারমিল্ক’কে।