বছর দুই আগে এক ব্রিটিশ দম্পতি এই ভাবে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। আসলে তাঁদের বাড়িতে লুকনো ইতিহাস আবিষ্কার করেছিলেন তাঁরা। হঠাৎই তাঁরা খুঁজে পান বাড়িতে থাকা একটি লুক্কায়িত কক্ষ। ১৯০০ সাল নাগাদ নির্মিত সেই অচেনা ঘরে প্রবেশ করার সময় তাঁরা ভেবেছিলেন যেন কোনও নতুন জগতে প্রবেশ করছেন।
আরও পড়ুন– নতুন বছরে ধনী হবে কোন রাশি? একনজরে দেখে নিন আর্থিক রাশিফল ২০২৪
advertisement
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২০ সালে ব্রিটেনের নাগরিকর ৪১ বছরের বেন মান এবং তাঁর স্ত্রী কিম্বারলি জেনের জীবনে ঘটে একটা আশ্চর্য ঘটনা। ২০১৫ সালে বেন ওই বাড়িটিতে থাকতে শুরু করেন। যাঁর কাছ থেকে বাড়িটি তিনি কিনেছিলেন তিনি সব ঘর দেখাননি। তাই পাঁচ বছর পর একদিন বেনের হঠাৎই একটি পচা কাঠের পাটাতন নজরে পড়ে। সেটা সরাতেই অবাক কাণ্ড। আসলে ওটা একটা দরজা, যা খুলে দেয় পথ।
ওই দরজা ঠেলতেই দেখা যায় সিঁড়ি যা নিয়ে যাবে বাড়ির নিচের অংশে। কেন এই অংশ বাড়ির মালিক তাঁকে দেখাননি, তা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছিলেন বেন। যাই হোক, ওই অংশটিও মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আসলে ওই এলাকায় যত বাড়ি দেখেছিলেন বেন, সব ক’টির বেসমেন্ট ছিল। কিন্তু এই বাড়িটির মালিক তার কথা জানাননি। প্রায় ১২০ বছর আগের ওই বেসমেন্ট দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন বেন ও তাঁর স্ত্রী। জল আর আবর্জনার স্তূপে ভরা ছিল বাড়ির নিচের অংশ। তবে সেই বেসমেন্ট এখন আর চেনার উপায় নেই।
আরও পড়ুন- ছাগল প্রসব করল দুটি বাছুর; অলৌকিক এই ঘটনা দেখে শুরু হয়েছে পূজা-অর্চনা
ধীরে ধীরে নতুন চেহারা পেয়েছে। সেই সময় ওই দম্পতির মেয়ের বয়স ছিল এক বছর। এখন সে ওই বেসমেন্টে ঘুরে বেড়ায় রঙিন প্রজাপতির মতো।
বেন জানিয়েছেন ওই ঘরটি মেরামত করে নতুন চেহারা দিতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৪.৭ লক্ষ টাকা। এই ঘরেই তিনি রেখেছেন প্রজেক্টর, সোফা, বার এরিয়া। অর্থাৎ, অতিথি আপ্যায়নের তুমুল আয়োজন, আস্ত একটা সিনেমা হল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন