ভারতীয় সিনেমাতেও সাপ নিয়ে অনেক ছবি আছে। শ্রীদেবী থেকে শুরু করে বহু নায়িকাই নাগিন-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এমনকি সাপ নিয়ে তৈরি হিন্দি ধারাবাহিক 'নাগিন' সব থেকে জনপ্রিয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে শোলাপুর জেলায় শেতপাল নামে একটি গ্রাম রয়েছে। এখানে কোবরা সাপে ভরে। বিষধর এই সাপ মানুষের সঙ্গেই থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: আকাশ-রঙা বিকিনি! দু'হাত মেলে দিলেন নুসরত! শরীরী ছন্দে আঁকলেন ছবি
এখান কার মানুষ তাঁদের ঘরের দরজা সব সময় সাপের জন্য খোলা রাখেন। এমনকি তাঁরা যখন বাড়ি বানান, তখন ঘরে সাপের থাকার জন্য একটা কোণা তৈরি করেন। সেই কোণটাকে দেবস্থান নাম দেন তাঁরা। অবলীলায় সাপ এখানে মানুষের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বিছানায় বাচ্চা শুয়ে আছেম ঠিক তার পাশেই শুয়ে আছে বিষধর কোবরা। ভাবতেও পারবেন না এমন দৃশ্য। এখানকার মানুষদের কথায়, সাপকে তাঁরা ভগবান রূপে পুজো করেন। তাই সাপের আসার জন্য সব ব্যবস্থা করা থাকে। এমনকি সাপের জন্য খাবার পর্যন্ত রাখা হয়। বহু যুগ ধরেই এই রীতি চলে আসছে গ্রামে। অবাক করা বিষয় হল আজ পর্যন্ত এখানে কাউকে সাপে কামড়ায়নি। কেউ সাপের কামড়ে মারা যাননি।
শুধু বাড়ি নয়। স্কুলেও ঢুকে পড়ে সাপ। ক্লাস রুমে ঢুকে অবলীলায় সে বিশ্রাম নেয়। বাচ্চারাও ভয় পায় না এই বিষধর কোবরাদের দেখে। ছোট থেকেই তারা সাপের সঙ্গেই বড় হয়। এখানে না সাপ মানুষের ক্ষতি করে, না মানুষ সাপের। মানুষে ও কোবরার এমন মেলবন্ধন গোটা বিশ্বে আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহের বিষয়!