তবে যে পেশা তিনি বেছে নিয়েছেন সমাজের চোখে তা শোভন ছিল না। অস্বস্তি কাজ করতে। এক সাক্ষাৎকারে রবিনসন (Mrs Robinson) জানিয়েছেন, দ্বিধায় ভুগতেন, কী ভাবে সন্তানদের জানাবেন তাঁর নতুন পেশার কথা! তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর সমস্ত উদ্বেগের অবসান ঘটে যখন তাঁর সন্তানেরা তাঁকে সমর্থন করেন (The decision to quit the job and become an adult model was not an easy one)।
advertisement
আরও পড়ুন-আয়ারল্যান্ডের শত বছরের পুরনো বিশেষ শিবলিঙ্গের রহস্য কী?
আমেরিকার বাসিন্দা মিসেস রবিনসন আগে এক কর্পোরেট অফিসে চাকরি করতেন। জীবনের একটা বড় অংশ তিনি ব্যয় করেছেন এই কাজে। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক মডেল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কর্পোরেট চাকরিতে প্রাপ্ত বেতন এবং অ্যাডাল্ট সাইট থেকে আয়ের তুলনা করার পর এ হেন সিদ্ধান্ত নিতে বরিনসন এক মুহূর্তও দ্বিধা করেননি। তিনি ৫১ বছর বয়সে OnlyFans সাইটে অ্যাডাল্ট মডেলিং করা শুরু করেন।
আরও পড়ুন-ধূমপানের অভ্যাস কি বাড়িয়ে দেয় শরীর কোলেস্টেরলের মাত্রা? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?
মিসেস রবিনসন সম্প্রতি নো জাম্পার পডকাস্ট শোতে কথোপকথনের সময় নিজের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রকাশ করেছেন যে তার এই বয়স অন্যদের আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। নতুন যুগের মেয়েদের মধ্যে পরিচয় তৈরি করাটা তার পক্ষে একটা চ্যালেঞ্জিং ছিল বলা যায়। কিন্তু দর্শকরা কেবল তাঁর বয়স অনুসারে তাঁকে পছন্দ করেননি, বরং মানুষ তাঁকে একটি গ্ল্যাম ওল্ড লেডি বলে প্রশংসা করেন। যদিও সিঙ্গল মা হওয়ার কারণে রবিনসনকে অনেক ধরণের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে এই সব চিন্তা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছেন।
লকডাউনে অন্য অনেকের মতো রবিনসনও তাঁর পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতেন, তারপরই তিনি OnlyFans নামে এক চ্যানেলে অ্যাল্ডাল্ট মডেলিংয়ের কাজে যোগ দেন।
রবিনসন ওই কর্পোরেট চাকরি করার সময়, এক সহকর্মীর দ্বারা OnlyFans-এ মডেলিংয়ের প্রস্তাব পান। প্রথম প্রথম এই কাজে অনীহা থাকলেও আয়ের অঙ্কটা রবিনসনকে অবাক করে দিয়েছিল। সিঙ্গল মাদার হওয়ার দরুন রবিনসন সিদ্ধান্ত নেন তিনি অ্যাডাল্ট মডেল হিসেবে কাজ করবেন। ব্যস তারপরই সন্তানদের সমর্থনে তিনি জনপ্রিয় অ্যাডাল্ট মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।