এমনটা গত এক-দুই মাসের কথা নয়, দেড় বছর ধরে এখানে কোনও শিক্ষার্থীই ভর্তি হয়নি, কিন্তু তা সত্ত্বেও এই বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক পদে আসীন রয়েছেন। স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলে পৌঁছে তাঁদের কাজের সময় শেষ করে আবার বাড়ি ফিরছেন। শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসার কারণ শুধু স্কুল প্রশাসন বা অভিভাবকরাই জানেন। বর্তমানে এই স্কুলটি গোটা রাজ্যে তুমুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
advertisement
আবদুল্লাহপুর গ্রামটি বাগপত সদর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে। গত দেড় বছর ধরে এখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি শিশুও ভর্তি হয়নি। এই বিষয়ে শিক্ষা দফতর কতটা আন্তরিক তা এথেকে অনুমান করা যায় যে আজও সেখানে ৫ জন শিক্ষক মোতায়েন করা হয়েছে, যাঁরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির বিষয়ে সচেতন করে চলেছেন। তবে দেড় বছরে সাফল্য পেয়েছেন বলে মনে হয় না।
আরও পড়ুন: ছবিতে ‘8’-এর ভিড়ে লুকিয়ে একটি অন্য সংখ্যা, ৯ সেকেন্ডে খুঁজে বের করতে পারলেই কেল্লাফতে
গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় প্রশান্ত লীলু কুমার বলেন, “গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু এই বিদ্যালয়ে শিশুরা তেমন ভাল শিক্ষা পায়নি। যার কারণে আমি আমার সন্তানদের অন্য স্কুলে ভর্তি করিয়েছি”। বর্তমানে রাজ্যজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে আবদুল্লাহপুর গ্রামের এই স্কুলটি। রাজ্যের এটাই একমাত্র স্কুল যেখানে একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হয় না। এখন দেখার বিষয় এই বিদ্যালয় কতদিন খোলা থাকবে।
বাগপতের বেসিক এডুকেশন অফিসার আকাঙ্কা রাওয়াত বলেছেন, “এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। আগে আবদুল্লাহপুর গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া মহাসড়কে বসবাসকারী শ্রমিকদের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে আসত, কিন্তু মহাসড়কের কাজ শেষ করে শ্রমিকরা এখান থেকে চলে যাওয়ায় তাঁদের ছেলেমেয়েরাও স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামের বাকি পরিবারগুলোর অবস্থা স্বচ্ছল। তাঁরা তাঁদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে চান, যার কারণে এই স্কুলে একজন শিক্ষার্থীও নেই।”