TRENDING:

সবাই ভাবত, ওরা বন্ধু! দুই বান্ধবীর সম্পর্ক ছিল অন্যরকম, বাড়ির লোক জানতেই ভয়ানক কাণ্ড

Last Updated:

Homosexual relation: দুই বান্ধবীর খাওয়া, শোওয়া, স্কুলে যাওয়া সব একসঙ্গে। বাড়ির লোকের সন্দেহ হয়। তার পরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাঁসি: সবাই ভাবত, তারা দুজন খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু তলে তলে ব্যাপারটা এত জটিল হয়ে গিয়েছিল, কেউ আন্দাজ করতে পারেননি।
advertisement

ঘটনাটি ঝাঁসি জেলার মৌরানিপুর কোতোয়ালি এলাকায়। দুই বন্ধুর বাড়িই কাছাকাছি। দুজনেই একই স্কুলে পড়ত। দুজনেই একই ক্লাসে। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। কেউ বুঝতেও পারেনি।

এই দুই মেয়ের বাড়ি একই কলোনিতে। দুজনেই একই স্কুলে পড়ে। একে অপরের বাড়িতে আসা, একসঙ্গে খাওয়া, এগুলো ছিল তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস। সবাই ভেবেছিল বন্ধুত্ব, কিন্তু একটা আলাদা সম্পর্ক গড়ে উঠছিল দুজনের মধ্যে।

advertisement

আরও পড়ুন- ছবি তুলতে মাটিতে বসে পড়লেন বৃদ্ধ, লজ্জায় লাল তাঁর স্ত্রী! ভাইরাল ছবি

এই দুই বন্ধু প্রায় ৩ বছর ধরে একসঙ্গে ছিল। একই প্লেটে খাবার খেত তারা। দুই পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ব্যাপারটাকে ভাল বন্ধুত্ব মনে করলেও তাদের অস্বাভাবিক মেলামেশা দেখে তারাও নজর রাখতে শুরু করেন। পরিবার যখন এই প্রেমের গল্পের সত্যিটা জানতে পারে তখন তাদের আলাদা করার চেষ্টা শুরু হয়।

advertisement

পরিবারের পাহারা এড়িয়ে এই দুই বান্ধবী একে অপরের সঙ্গে বাঁচা-মরার প্রতিজ্ঞা করে বসে। দেখা করতে না পেরে দুজনেই হাতের শিরা কেটে ফেলে। চিকিত্সার পর দুজনেই বেঁচে যায়। তবে মেয়ে দুটির জেদ এখানেই থেমে থাকেনি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিরক্ত হয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাড়ি থেকে পালিয়ে মধ্যপ্রদেশের হারপালপুর জেলায় পৌঁছে সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে তারা। বাড়ি ভাড়া দিতে নিজের সোনার চেইন বিক্রি করে দেয় এক ছাত্রী। এদিকে, নিখোঁজ মেয়েদের খোঁজে মৌরানিপুর থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। পুলিশ তৎপর হয়ে দুজনকেই উদ্ধার করে।

advertisement

আরও পড়ুন- জিলিপির ইংরাজি কী, প্রায় কেউ বলতে পারবেন না, আপনি জানলে হবে বাজিমাত

পুলিশ দুই ছাত্রীকে মধ্যপ্রদেশ থেকে ঝাঁসিতে ফিরিয়ে আনে।পুলিশ তাদের বাড়িতে যেতে বললেও কেউই রাজি হয়নি। দুজনেই পুলিশ হেফাজতে থাকার কথা বলে।

এর পর পুলিশ ওই দুই ছাত্রীকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে জবানবন্দি নেয়। একজন ছাত্রী জানায়, সে প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অপর নাবালক ছাত্রীও জেদে অনড়।

advertisement

পুলিশ বলছে, দুই ছাত্রীর মধ্যে একজন শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে রাজি হয়েছে। তবে দুই ছাত্রীকে কাউন্সেলিং করা হবে। কাউন্সেলিং শেষে দুই ছাত্রীকে বাড়িতে পাঠানো হবে।

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
সবাই ভাবত, ওরা বন্ধু! দুই বান্ধবীর সম্পর্ক ছিল অন্যরকম, বাড়ির লোক জানতেই ভয়ানক কাণ্ড
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল