গত কয়েক বছরে বারবার শোনা যায় এই বিরল মৃত্তিকা খনিজের নাম। আধুনিক প্রযুক্তি, শিল্প ও প্রতিরক্ষা খাতে বিরল খনিজ অপরিহার্য। আধুনিক প্রযুক্তির প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিরল খনিজের ব্যবহার হয়। যেমন স্মার্টফোন, কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ, বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহন, টেলিভিশনের এলইডি ডিসপ্লে তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এটি।
প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ প্রযুক্তি যেমন লেজার, রাডার ও সোলার সিস্টেম, জেট ইঞ্জিন, মিসাইল সিস্টেম ও স্যাটেলাইটেও এটির ভূমিকা আছে। এছাড়া বায়ু টারবাইন ও সৌর প্যানেল এবং চিকিৎসা, অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি (যন্ত্র নির্মাণশিল্প) এবং কাচ ও সিরামিক শিল্পও এখন এই বিরল খনিজনির্ভর। তবে এটির উত্তোলন এবং শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়বহুল।
advertisement
আরও পড়ুন- পেট্রোল পাম্প কি ভারতে বন্ধ হয়ে যাবে! এক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য চলে এল প্রকাশ্যে
এই খনিজের ভাণ্ডার আছে চিনের কাছে। চিন যদি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তা হলে বিশ্বে বিরল মৃত্তিকা খনিজ সরবরাহ বন্ধ হবে। বিরল মৃত্তিকা উপর নির্ভরশীল শিল্পগুলি মন্দার মুখোমুখি হবে। এই জিনিসের ঘাটতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করার ক্ষমতা রাখে। বিরল মৃত্তিকা খনিজগুলি এখন তেল এবং গ্যাসের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। গত ৭০-৮০ বছরে এই জিনিসের একচ্ছত্র অধিকার চিনের। তারা অনেক আগেই এই জিনিসের গুরুত্ব বোঝে। এর পর এটি নিয়ে কাজ শুরু করে দেয়।