বর্তমানে নিজের পিতা সূর্যের কারণে স্বরাশি মকরে বক্রিদশায় রয়েছে শনি। শনিদেব সূর্যের পুত্র হলেও বাবা ও ছেলের মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল না । ছেলের গায়ের রং নিকষ কালো হওয়ায় শনির মাতা দেবী ছায়ার সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সূর্যদেব । রাগে ক্রব্ধ হয়ে শনিদেব সূর্যকে অগ্নিদৃষ্টিতে পুড়ে কালো করে দেন । সে সময় শিব এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন ও শনিদেবকে কর্মফলদাতা হওয়ার ক্ষমতা প্রদান করেন । কথিত আছে, শনি জয়ন্তীর দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন শনিদেব । জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে তাঁর জন্ম । জ্যোতিষ অনুযায়ী আংশিক সূর্য গ্রহণ হওয়ার কারণে ভারতে এর সূতক কালও মান্য হবে না । বৃষ রাশি ও মৃগশিরা নক্ষত্রে এই গ্রহণ লাগতে চলেছে। মৃগশির নক্ষত্রের অধিপতি মঙ্গল এবং এ সময় মকর রাশিতে বক্রি শনির পূর্ণ দৃষ্টি পড়ছে মীন এবং কর্কটে বিরাজমান মঙ্গলের ওপর। এর পাশাপাশি মঙ্গলের দৃষ্টি রয়েছে বৃহস্পতির ওপর। এ সময় আবার সূর্য, চন্দ্র, রাহু এবং বুধের যুতিও রয়েছে।
advertisement
বর্তমানে শনির সাড়েসাতি চলছে ধনু, মকর এবং কুম্ভ রাশিতে। আবার বক্রিদশা বিচরণ করছেন শনি। আবার শনির আড়াইয়ের প্রভাব রয়েছে মিথুন ও তুলা রাশির ওপরে। এই পরিস্থিতিতে গ্রহণের সময় শনি চালিসা পাঠ করা উচিত। আবার গ্রহণের পর দরিদ্রদের খাবার ও বস্ত্র দান করলে শনির অশুভ প্রভাব কম করা যেতে পারে। এই দিনে শনিদেবের সঙ্গে জড়িত বস্তু দান করা ভাল। যেমন, সর্ষের তেল, কালো অড়হর ডাল, কালো তিল ইত্যাদি। তা হলে শনিদেবের কৃপা পাওয়া যায় ।
ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী বজরংবলীর ভক্তদের ওপর শনি অশুভ দৃষ্টি ফেলে না। তাই যাঁদের ওপর শনির সাড়েসাতি, আড়াই, মহাদশা বা অশুভ প্রভাব রয়েছে, তাঁদের বজরংবলীর আরাধনা করা উচিত।
