বছরে ১২ বার শিবরাত্রি৷ কিন্তু আগামী ২১ ফেব্রুরা যে তিথিটি, তা হল মহাশিবরাত্রি৷ সবচেয়ে পবিত্র৷ এই দিনটিতে নিষ্ঠাভরে ব্রত পালন করলে, শিব সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তের মনের বাসনা পূর্ণ করেন৷ তাই দেশের লক্ষ লক্ষ শিবভক্তের কাছে এই দিনটি অতি শুভ৷ শিবপুরাণ মতে, মহাশিবরাত্রি ব্রতপালন বিধি অনুসারে ত্রয়োদশীতে এক বেলা নিরামিষ আহার খেয়ে থাকতে হয়। যাতে চতুর্দশীতে উদরে আহারের কণামাত্রও না থাকে৷
advertisement
মহাশিবরাত্রিতে খুব সকালে তিল ভেজা জলে স্নান করলে ভালো৷ শিবপুরাণের মতে, তাতে শরীর শুদ্ধ হবে৷ তারপর সঙ্কল্প করবেন৷ ওম নমঃ শিবায়ঃ বীজমন্ত্রে প্রণাম জানান শিবকে৷ রাতভর চলে শিবরাত্রির ব্রত৷ তাই সন্ধেবেলাতেও একবার স্নান করে শুদ্ধ হয়ে পুজোর জোগাড় করুন। হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন জল, দুধ, দই, ঘি, মধু, ফুল, বেলপাতা, গোলাপ জল, চন্দন বাটা, কুঙ্কুম বা সিঁদুর, ধূপ, ঘিয়ের প্রদীপ, পাঁচটি ফল, মিষ্টি।
প্রথম প্রহরে ‘হ্রীং ঈশাণায় নমঃ’ মন্ত্রে দুধ দিয়ে, দ্বিতীয় প্রহরে ‘হ্রীং অঘোরায় নমঃ’ মন্ত্রে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ‘হ্রীং বামদেবায় নমঃ’ মন্ত্রে ঘি দিয়ে এবং চতুর্থ প্রহরে ‘হ্রীং সদ্যোজাতায় নমঃ’ মন্ত্রে মধু দিয়ে স্নান করিয়ে পুজো করতে হয়। এই সময় প্রার্থনা করা হয়, হে শিব, তোমাকে নমস্কার। তুমি সৌভাগ্য, আরোগ্য, বিদ্যা, অর্থ, স্বর্গ, অপবর্গ দিয়ে থাকো। তাই এগুলো তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। হে গৌরীপতি, তুমি আমাদের ধর্ম, জ্ঞান, সৌভাগ্য, কাম, সন্তান, আয়ু ও অপবর্গ দাও। অভিষেকের পরে বেলপাতার মালা শিবলিঙ্গে দেওয়া নিয়ম। তার পর, ফুলে সাজিয়ে দিন শিবলিঙ্গ। ফুল এবং মালা দেওয়ার সময়ে উচ্চারণ করুন ওম নমঃ শিবায়ঃ।
